ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

ভাদ্র মাসের অভদ্র গরম পড়তে শুরু করেছে দিনের বেলায়। শেষ রাতের দিকে আবার শারদসম্মত শীতের আলতো ছোঁয়া। তাপমাত্রার এমন ওঠানামায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় শিশুরা। সতর্ক না হলে হঠাৎ করে গরমেও ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। ঘামে ভিজে ওঠা শরীর তাই মুছে ফেলা দরকার চটজলদি। লেখার শুরুতেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কথাবার্তা বলছি ভুক্তভোগী হওয়ার কারণে। ভাদ্রের তালপাকা গরমে সিদ্ধ হয়ে, ঘেমে উঠে এসি রুমে ঢুকে ভেবেছিলাম আহ শান্তি কুটিরে এলাম বুঝি। পরে বুঝেছি অশান্তি কাকে বলে। গলা বসে গেছে, মাথায় তীব্র ব্যথা। আল্লা আল্লা করেছি যেন জ্বরজারিতে না পড়ি। ডাক্তার বন্ধু সতর্ক করে বলেছেন, ভাদ্রের রোদ মাথায় লাগতে দেবেন না। বৃষ্টিও। দুটোই মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। আর ঘেমে গোসল করে ফেললে সাধারণ নিয়মে স্নানের পর যেমন গা মুছে শুকনো কাপড় পরতে হয়, তেমনটাই করতে হবে। আমি জানি ঢাকাবাসীদের ভেতর আমার মতো ভুক্তভোগীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তাই কথাগুলো ভাগাভাগি করে নেয়া। একটা কবিতায় পড়েছিলাম ভাদ্রের সূর্যকে ছুড়ে দেয়া গোলার উৎসস্থল হিসেবে তুলনা করা হয়েছে। শরতে আকাশ থাকে স্বচ্ছ, মেঘহীন। তাই সূর্য একেবারে বাধাহীনভাবে তার তীব্র কিরণ ঢেলে দিতে পারে এই গরিব গ্রহের গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে। তবে ঢাকার যে পরিবেশ তাতে বলা যেতে পারে শরত তার ঝুলির ভেতর ভরে রেখেছে অনেকখানি শ্রাবণের স্বভাব। মাত্র দেড়ঘণ্টার বৃষ্টিতে গত মঙ্গলবার রাজধানীর কী দশা হয়েছিল আজ মঙ্গলবারের দিকে তাকিয়ে একটু অবিশ্বাস হয় বৈকি। বন্যা নয় দেশের অনেক অঞ্চল বন্যাকবলিত হলেও বহু বছর ধরে রাজধানী এই দুর্দশা থেকে মুক্ত। তবে মঙ্গলবার ঢাকার কোন কোন এলাকায় জলজট বা জলাবদ্ধতা এমনরূপ নিয়েছিল যে, অবস্থাদৃষ্টে তা বন্যার অবয়ব ধারণ করেছিল। কোন কোন সড়কে নৌকা চলাচলও করতে দেখা গেছে। একই সড়কে নৌকা এবং মোটরগাড়ি চলছেÑ দৃশ্যটি যতই কৌতুককর মনে হোক না কেন, একটি দেশের রাজধানীর জন্য মোটেও গর্ব করার মতো কিছু নয়। আটাশির বন্যায় মতিঝিলে কংক্রিটের শাপলা ঘিরে নৌবিহারের স্মৃতি ভুলে যাইনি। তবে সেটি তো ছিল রীতিমতো বন্যা, জলাবদ্ধতা নয়। ঢাকায় দেড়ঘণ্টা বৃষ্টিতে হাবুডুবু পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে অনেক বছরই হলো। এর সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী কার্যকর ভূমিকা রেখেছে এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যাহোক, এখন ঢাকায় রয়েছেন একজন নয়, একজোড়া মেয়র। আমরা আশা করতে পারি এ দু’জন নিশ্চয়ই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন, কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন যাতে করে দু-তিন বছরের মধ্যে ঢাকা সম্পূর্ণরূপে জলাবদ্ধতামুক্ত শহরে পরিণত হতে পারে। যানজট পয়লা নম্বর সমস্যা আমাদের রাজধানীর- এ ব্যাপারে কোন সংশয় নেই। কিন্তু যানজটের মধ্যেও বিপুলসংখ্যক মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল বজায় রাখতে পারে। রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেলে সেটাও অসম্ভব হয়ে ওঠে। আগুন লাগার ভয় কথায় বলে- ঘরপোড়া গরু“সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। রাজধানীর পান্থপথে অত্যাধুনিক বিশাল শপিংমল বসুন্ধরায় একবার আগুন লেগেছিল। সে কয়েক বছর আগের কথা। বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। গত সপ্তাহে বসুন্ধরায় সীমিতভাবে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আট তলায় ফুড কোর্টের একটি দোকানের ইলেকট্রিক ওভেন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই দোকানের সামনের কয়েকটি টেবিলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক মার্কেটের স্বয়ংক্রিয় ফায়ার এ্যালার্ম বাজতে থাকে। আট তলায় ফুড কোর্ট ও সিনেপ্লেক্সে আগত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা লিফট ও চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে মার্কেট থেকে বের হতে থাকে। অগ্নিকা-ের এই সঙ্কেতে ছুটে আসে মার্কেটের নিজস্ব অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা টিম। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তারা আগুন নিভিয়ে ফেলে। আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে, সে কারণে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। রাজধানীর অত্যাধুনিক শপিংমলগুলোয় পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। অবশ্য আগুন লাগার যেসব কারণ রয়েছে তার ভেতর প্রথমেই রয়েছে সিগারেটের আগুন। এখন ঢাকার বহু মার্কেটেই প্রকাশ্যে ধূমপানের সুযোগ অনুপস্থিত। খাবারের দোকানগুলোয় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে শপিং করতে আসা মানুষের ভেতর দুর্ভাবনার বিষয়টি নিশ্চয়ই কমে আসবে। ঝুলন্ত তারের ঝুঁকি রাজধানীতে ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তারের কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটা দুঃখজনক। ঝুলন্ত তার নিয়ে এই কলামে গত মাসেই লিখেছি। একই কথা বারবার বলতে কার ভাল লাগে? কর্তৃপক্ষ যদি চোখ বন্ধ আর কানে তুলো দিয়ে রাখে তাহলে রাজধানীবাসী বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুঝুঁকির ভেতর থেকেই যাবে। রবিবারের জনকণ্ঠে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি জনগুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। সেখানে লেখা হয়েছে : মোহাম্মদপুরে একটি চলন্ত লেগুনার ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তার ছিঁড়ে এক মহিলা যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন ১৪। দগ্ধ সবাই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় ছটফট করছে। অন্যদিকে মৎস্য ভবনের সামনে বিদ্যুতায়িত হয়ে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি ঘটনাই শুক্রবারের। এভাবে প্রতিদিন বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে। তারপরও ওই তারের জঞ্জাল অপসারণের কোন উদ্যোগ নেই। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তাকালেই দেখা যায় চারদিক ভরে গেছে ইন্টারনেট ও ডিশ লাইনের তারের গোছায়। যেসব খুঁটি এসব গোছার ভার বইছে সেসব কুজো বুড়ির মতো হয়ে গেছে। যে কোন সময় পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া আরও কিছু ক্ষেত্রে এসব গোছার ঝুলন্ত তার চরম ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিও সৃষ্টি করে। দেখলে মনে হয় অযতেœ জটা লাগা চুল। কিন্তু চুল নয়। সবই তারের জঞ্জাল। ইন্টারনেট, ডিশ, টেলিফোন, বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনগুলো জড়িয়ে আছে একসঙ্গে। রাজউক-এর সবুজ স্বপ্ন ঢাকায় গাছের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে- এ কথা আমরা বারবার উচ্চারণ করি সতর্কবার্তা হিসেবে। যাতে মানুষের ভেতর সচেতনতা তৈরি হয়। যেন বৃক্ষনিধনে না মাতে নগরবাসী। একান্ত অনিবার্য প্রয়োজনে যদি একটা গাছ কেটে ফেলতেই হয় তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা দুটি গাছ লাগানোর অনুরোধ জানিয়ে থাকি। অতিরিক্ত ভবনের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। বিষয়টি নিয়ে রাজউক দীর্ঘদিন ধরেই কিছু একটা করার কথা ভাবছে। এবার সেই ভাবনার বাস্তবরূপ হয়ত দেখা যাবে। রাজধানীর বহুতল ভবনগুলোর ছাদের অর্ধেক জায়গা বাগানের (রুফ গার্ডেন) জন্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এটা করা গেলে ভবনের উষ্ণতা যেমন কমবে, তেমনি নগরবাসীও বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। রাজউকের বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনাও হয়েছে। এটা করতে হলে বিদ্যমান ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে। নগর উন্নয়ন কমিটি সম্মতি দিলে বিধিমালা সংশোধন করে রুফ গার্ডেনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা সম্ভব। যদিও ঢাকার অনেক বহুতল কিংবা তিন-চারতলা ভবনের ছাদে বাগান করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। শুধু শখ করে ফুল চাষ নয়, সবজি চাষও করে থাকেন অনেকেই। ঢাকায় এমন অনেক বাড়ি রয়েছে যেগুলোর ছাদ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় না ভাড়াটিয়াদের। কোন ফ্ল্যাটের বাসিন্দার সীমিত আকারে ছাদে সবুজায়নের বাসনা থাকলেও বাড়িওয়ালার অনীহার কারণে তা বাস্তবরূপ লাভ করে না। ডিসিসি-এর ওয়ার্ড কমিশনাররা এ ব্যাপারে একটি শুভ উদ্যোগ নিতেই পারে। বাড়িওয়ালাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে ছাদে গাছ লাগাতে। যদি কোন কারণে বাড়িওয়ালার নিজের পক্ষে সেটা করা সম্ভব না হয় তাহলে এক বা একাধিক ভাড়াটিয়াকে অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। তাতে অনেকগুলো লাভ হবে। ভবনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে। বায়ুদূষণের এ শহরে আরও কিছু বাড়তি অক্সিজেনের যোগান মিলবে। চলতি পথের জঞ্জাল খোলা রাস্তার জঞ্জাল নিয়ে, সড়ক ব্যবহারকারীদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে মাঝে মধ্যে দু-চার কথা বাধ্য হয়েই বলতে হয়। সহ্যের সীমা অতিক্রম করলেই এ নিয়ে দু-কথা শুনিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। শুক্রবার নিউ ইস্কাটন রোড়ের ওপর মিনি সাইজের পাহাড়ের দেখা পেয়ে অবাক হলাম। রাজপথকে ডাস্টবিন জ্ঞান করার প্রবণতা রয়েছে আমাদের মধ্যে। এটা-সেটা আবর্জনা আমরা অবলীলায় রাস্তার ওপরে ফেলে দিই। সভ্য শহরে ভিন্ন ভিন্ন আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বিন রাখা হয়। ঢাকার রাস্তায়ও খুঁজলে ডাস্টবিন পাওয়া যাবে, তবে তা এতটাই আগ্রাসী যে আশপাশের দশ-কুড়ি গজ জায়গা নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সে রীতিমতো নরক গুলজার করে থাকে। যা হোক, খোঁজ নিয়ে জানলাম সামনের ভবনের একটি তলায় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের প্রয়োজনে দেয়াল ভাঙা হচ্ছে। সেসবের খণ্ডাংশ রাস্তার ওপরে জড়ো করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যে কেবল দৃষ্টিকটু তাই নয়, এতে চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করেছে। অবশ্য চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসব জঞ্জাল অপসারণ করে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সবান্ধবে সিনেমা দেখার খুব একটা সুব্যবস্থা ঢাকায় নেই। সিনেপ্লেক্স বলে যে প্রেক্ষাগৃহগুলো চালু আছে তাতে উদ্ভট সব বাংলা সিনেমার দৌরাত্ম্য। এ রকম একটি হতাশাজনক পরিস্থিতির ভেতর প্রতি মাসের প্রথম শনি ও রবিবার সন্ধ্যায় দুটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে বেঙ্গল-স্টার যৌথভাবে। ফার্মগেটের কাছে ডেইলি স্টার ভবনের দোতলায় এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনীটির খবর চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দেয়া দরকার। কানাইলাল শীল স্মরণ এবং কবিদের মিলনমেলা একই মঞ্চে পরপর দুই সন্ধ্যায় দারুণ সাংস্কৃতিক আয়োজন হয়ে গেল। শাহবাগের কাছেই পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে নানা আয়োজন হতে দেখে ধারণা হয় এটিও আগামীতে রাজধানীর সংস্কৃতিকর্মীদের আরেকটি মিলনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। কানাইলাল শীলকে আজকাল আর কে স্মরণ করে! আকাশপ্রদীপ ও পথিকৃৎ ফাউন্ডেশন এই কালজয়ী লোকসঙ্গীত ব্যক্তিত্বের প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে যে আয়োজনটি করেছিল তাতে শিল্পীপরিবারের সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি নিভৃতে চর্চাকারী অনেক সঙ্গীতশিল্পীই এসে গান শুনিয়ে যান। এদেশে দোতারা বাদনকে জনপ্রিয় করেছিলেন কানাইলাল শীল। শচীন দেব বর্মণ হাজার টাকা সম্মানী দিয়ে বোম্বের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য কানাইলাল শীলকে ভারতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আব্বাসউদ্দিনের সঙ্গত্যাগ করে সেখানে যেয়ে সচ্ছল জীবনযাপনের আহ্বান উপেক্ষা করতে পেরেছিলেন। এমন একজন শিল্পীর সুর করা এবং লেখা গানের আসরের জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। আর ঘাসফুল সংগঠনটি প্রত্যেক ঋতুতেই কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠের আয়োজন করে থাকে। শুরুতে থাকে কবিতাবিষয়ক প্রবন্ধ। তারপর নবীন-প্রবীণ এক ঝাঁক কবির কবিতাপাঠ। এটি কবিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এমন আয়োজন ঢাকায় ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। তাই ঘাসফুলকে ধন্যবাদ দেব তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য। আগামীতে শুধু কবি নয়, কবিতার শ্রোতাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করায়ও তারা উদ্যোগী হবেন এটাই প্রত্যাশা। জন্মাষ্টমীর মিছিল প্রতি বছরই ঢাকায় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবারের মিছিলটি ছিল বিশাল। আর নিরাপত্তাও গ্রহণ করা হয় ব্যাপকভাবে। যদিও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বরাবরই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে। জন্মাষ্টমীর মিছিলটির প্রতি বিভিন্ন ধর্মের মানুষের আগ্রহ থাকে এর নান্দনিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই। এবার বড় ধরনের যানজটেরও সৃষ্টি হয় মিছিলের জন্য। শরতের কড়া রোদ মিছিলের প্রাণময়তায় একটুও বাদ সাধতে পারেনি। ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ [email protected]
×