ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ

বিসিসিআইকে পিসিবির চাপ!

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বিসিসিআইকে পিসিবির চাপ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে? ভারত-পাকিস্তান কি সমঝোতায় পৌঁছতে পারবে। দীর্ঘদিন কোন লড়াই হয়নি এ দুটি দেশের মধ্যে। লড়াইয়ে নামার জন্যই একটি সমঝোতার প্রচেষ্টা চলমান। সবচেয়ে উপভোগ্য, আকর্ষণীয় এবং দর্শকপ্রিয়তা তো এ দুটি দলের ক্রিকেট লড়াইয়েই। তবে আগামী ডিসেম্বরে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে এখনও ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি। সে কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) প্রধানের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। আর সেই চিঠিতে পরিষ্কার ভাষায় প্রস্তাবিত সিরিজের ভাগ্যে কি আছে তা জানাতে আহ্বান করেছে পিসিবি। গত বছর বিসিসিআই-পিসিবি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ওই চুক্তি অনুসারে উভয় বোর্ড সম্মত হয়েছিল নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনে। সে অনুসারে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে অন্তত ৬ সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ বছর ডিসেম্বরে তেমনি একটি সিরিজ আয়োজনের কথা পাকিস্তানের। প্রস্তাবিত ভেন্যু আরব আমিরাতে সেই সিরিজটি আদৌ হবে কি না সেটা এখনও ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। কারণ দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সে কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজও এখন শঙ্কায়। এ কারণে বিসিসিআই সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছিলেন রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান তার লেখা চিঠিতে অনুরাগ ঠাকুরের এমন মন্তব্যকে প্রস্তাবিত সিরিজের ওপর এবং পিসিবি-বিসিসিআই সম্পর্কের ওপর ‘নেতিবাচক ছায়া’ পড়বে বলে দাবি করেছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি আশাবাদী সীমানায় যে নিয়মিত উত্তেজনা সেটাকে বিবেচনায় না রেখে ভারত সরকার আমাদের মধ্যে সিরিজের বিষয়টা ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সাধুবাদ জানাবে।’ শাহরিয়ার চিঠিতে এই আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন যে দু’দেশের মধ্যে সিরিজটি আয়োজিত হলে সীমান্ত উত্তেজনাও প্রশমিত হবে। তিনি উদাহরণ হিসেবে ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান দলের ভারত সফরের বিষয়টি উল্লেখ করেন। ওই সময় তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা ছিল দু’দেশের রাজনীতিতে। পরবর্তীতে নিরাপত্তা শঙ্কার মধ্যেও ভারতীয় দল ২০০৩-০৪ সালে পাকিস্তান সফর করেছিল সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন শাহরিয়ার। এবার দু’দেশের মধ্যে আরব আমিরাতে দুই টেস্ট, ৫ ওয়ানডে ও একটি টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা প্রস্তাবিত ছিল। এ দুটি দেশ ২০০৭ সালের পর থেকে আর পরস্পরের মধ্যে কোন পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেনি।
×