ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমি কেবল নিজেকে রক্ষাই করতে চেয়েছিলাম ॥ স্টোকস

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আমি কেবল নিজেকে রক্ষাই করতে চেয়েছিলাম ॥ স্টোকস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিতর্কিত আউটের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার বেন স্টোকস। অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বললেন, সেদিন কেবল নিজেকেই রক্ষা করতে চেয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, লর্ডসে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের শিকার হন স্টোকস। বিশ্ব এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এভাবে আউট হন ইংলিশ অলরাউন্ডার। স্টোকস ইচ্ছা করে বল আটকে দিয়েছে, বলে দাবি প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের। আর মরগানের মতে, স্মিথের জায়গায় তিনি থাকলে আউটের জন্য আবেদনই করতেন না! ‘মাত্র পাঁচ মিটার দূর থেকে একজন বল ছুড়ে মেরেছে এবং এটা ছিল সহজাত প্রতিক্রিয়া। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে বলে হাত দেইনি। নিজেকে রক্ষা করতে মানুষের প্রতিক্রিয়া থেকেই এটা করেছি। আমি মোটেই ইচ্ছাকৃতভাবে বলে হাত দেইনি। এই ক্ষেত্রে আমার কিছ্ইু করার ছিল না।’ বলেন স্টোকস। ইংল্যান্ড ইনিংসের ২৬তম ওভারের ঘটনা। অসি পেসার স্টার্কের একটি বল খেলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন স্টোকস। স্টার্ক রান আউটের সুযোগ দেখে স্ট্যাম্পের দিকে বল ছুড়ে মারেন। রান আউটের হাত থেকে বাঁচার জন্য উল্টো দিকে ঝাঁপ দেন স্টোকস। কিন্তু কি বুঝে বলের দিকে আরেকটি হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন! সঙ্গে সঙ্গে আউটের আবেদন স্মিথদের। মাঠের দুই আম্পায়ার টিভি আম্পায়ারের শরণাপন্ন হলে আউট ঘোষণা করা হয় স্টোকসকে। ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্যা ফিল্ড’ বলতে ফিল্ডিংয়ে বাধা দেয়ার অভিযোগে ব্যাটসম্যানের আউটকে বোঝায়। নিয়ম অনুযায়ী আউট হলেও এটি মূলত খেলাটির স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। ইংলিশরা তাই সফরকারী অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডারদের ‘স্পোর্টম্যানশিপ’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অধিনায়ক মরগান, সাবেক তারকা মাইকেল ভন, এ্যালেক স্টুয়ার্ট, পল কলিংউডও এর সমালোচনা করেন। এ জন্য স্মিথের অনুশোচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তারা। বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিয়ে মরগান বলেন, ‘মাঠের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনাও আমাকে বলেছেন যে, তারা এটাকে আউট দিতে চাননি; কিন্তু থার্ড আম্পায়ার একমত হননি। বরং আইসিসির নিয়ম অনুস্মরণ করেই আউট দেয়া হয়।’ এটা ঠিক আম্পায়ার নিয়মের বাইরে যেতে পারেননি। কিন্তু ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে ভদ্রতা বলে একটা বিষয় থাকে। স্মিথরা সেদিকে না হেঁটে, থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হওয়ায় অনেকেই অস্ট্রেলীয়দের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আগ্রাসী মনোভাবের দুয়ো তুলে অসিরা বার বারই খেলাটির ‘জেন্টলম্যানশিপ’ নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ তাদের। তবে নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে স্মিথের যুক্তিও ফেল না নয়। অসি অধিনায়ক বলেন ‘উইকটরক্ষক হিসেবে ম্যাথু ওয়েড ঘটনাটি পরিষ্কার দেখেছে। ও বলল, বলটি স্টোকসের কাছে ছিল না, বরং সেটা সোজা স্টাম্পের দিকেই যাচ্ছিল। আমরা তাই আপীল করেছি এবং আম্পায়ার আউট দিয়েছেন। আমারও মনে হয় স্টোকস এটা ইচ্ছা করেই করেছে।’ ওয়ানডেতে এর আগে এভাবে আউট হওয়া ক্রিকেটাররা হচ্ছেনÑ রমিজ রাজা (বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৮৭), মহিন্দর অমরনাথ (বনাম শ্রীলঙ্কা, ১৯৮৯), ইনজামাম-উল হক (বনাম ভারত, ২০০৬), মোহাম্মদ হাফিজ (বনাম দ. আফ্রিকা, ২০১৩) ও আনোয়ার আলি (বনাম দ. আফ্রিকা, ২০১৩)। এশিয়ান অনুর্ধ ১৪ টেনিস বাংলাদেশের শ্রাবণী-জেরিন কোয়ার্টারে স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘বেঙ্গল এশিয়ান অনুর্ধ ১৪ সিরিজ টেনিস প্রতিযোগিতা’-এর প্রথম দিনে রমনা জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে সোমবার বালক বিভাগে ১০টি ও বালিকা বিভাগে ৩টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বালক এককে বাংলাদেশের ইশান শাহ স্বদেশী সাইফুল আলমকে, বাংলাদেশের ফরহাদ ইসলাম রৌদ্র স্বদেশী ইয়ামান আহমেদ জিমকে, ভারতের সৈয়দ জিয়াউদ্দিন পাশা বাংলাদেশের তাশফিক হোসেনকে, বাংলাদেশের সাদ আবদুল্লাহ আফ্রিদি স্বদেশী রাশেদুল ইসলামকে, বাংলাদেশের তামিম বিন জাহিদ স্বদেশী সৈকত শাহরিয়ারকে, বাংলাদেশের আশিক জান্নাত স্বদেশী নূর আলমকে, বাংলাদেশের রাকিব হোসেন স্বদেশী নিসাদকে, ভারতের মানব জায়েন স্বদেশী অবনীত সিংকে, বাংলাদেশের ফরিদুর রেজা স্বদেশী সৈয়দ মোস্তাসিন হামিদকে ও বাংলাদেশের জুবিন ওমর স্বদেশী খালেকুজ্জামান ইশতিয়াককে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হয়। বালিকা এককে বাংলাদেশের শ্রাবণী বিশ্বাস স্বদেশী অদিতি সওদাগরকে পরাজিত করেন।
×