ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পঞ্চগড়ে ট্রাভেল পাস প্রদান করলেন পঙ্কজ শরণ

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পঞ্চগড়ে ট্রাভেল পাস প্রদান করলেন পঙ্কজ  শরণ

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম ॥ পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত বিভিন্ন ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে যারা ভারতে বসবাসের অপশন দিয়েছেন তাদের ট্রাভেল পাস দিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। সোমবার সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলোয় তিনি পাস প্রদানের উদ্বোধন করেন। ৬ থেকে ১৬ জুলাই উভয় দেশের জনগণনার পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় ৩৬ ছিটমহল থেকে ৪৮৭ বাসিন্দা ভারতে বসবাসের অপশন দেন। এ সময় ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ মিত্র, ভারতীয় দূতাবাসের ১ম সেক্রেটারি রমাকান্ত রায়, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম আযমসহ ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, যারা এই ট্রাভেল পাস পাবেন তারা ৩০ নবেম্বরের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ভারতে প্রবেশ করবেন। এর আগে তারা যে কোন সময় ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। যারা চূড়ান্তভাবে ভারতে যাবেন তাদের সদলবলে যাওয়ার এবং মালামাল পরিবহনের খরচ ভারত সরকার বহন করবে। তাদের স্থাবর সম্পত্তিসংক্রান্ত টাকা-পয়সার লেনদেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ট্রাভেল পাসধারীরা হলদিবাড়ি-চিলাহাটি, সাহেবগঞ্জ-বাগবন্দর ও চ্যাংড়াবান্ধা-বুড়িমারী চেকপোস্ট ব্যবহার করতে পারবেন। তারা ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাতায়াত করবেন এবং ১ থেকে ৩০ নবেম্বরের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ভারতে চলে যাবেন। তিনি বলেন, ছিটমহল সমস্যা সমাধান সারাবিশ্বে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। এতে আপনারা নতুনভাবে জীবন শুরু করবেন। কুড়িগ্রাম ৩শ’ ৫ জনকে ট্রাভেল কাম আইডেনটিটি পাস’ প্রদান ॥ কুড়িগ্রামের সাবেক তিনটি ছিটমহলের ৩শ’ ৫ অধিবাসীকে ভারতের নাগরিক হিসেবে ‘ট্রাভেল কাম আইডেনটিটি পাস’ প্রদান কার্যক্রম সোমবার শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে দাশিয়ারছড়ায় ২শ’ ৮১ জন এবং ভুরুঙ্গামারীর ছোট ও বড় গাড়লঝড়া ছিটের ২৪ জনকে এ পাস দেয়া হবে। সোমবার দাশিয়ারছড়ার অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের পাশে তিন সদস্যের ভারতীয় দল এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে ‘ট্রাভেল কাম আইডেনটিটি পাস’ প্রদান করেন। এ সময় পৃথক দুই স্থানে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এজেএম এরশাদ আহসান হাবিবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ভারতে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। একইভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ পাস প্রদানের মধ্য দিয়ে ভারত যেতে ইচ্ছুকদের প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। আগামী ১ নবেম্বর থেকে ৩০ নবেম্বরের মধ্যে কুড়িগ্রামের ৩শ’ ৫ জন বাঘভা-ার ও সাহেবগঞ্জ সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবেন। পাস প্রদানের সময় তাদের প্রত্যেককে মিষ্টি, রজনীগন্ধার ফুল ও ভারত বিচিত্রা নামের একটি বই তুলে দেয়া হয় ভারতের নতুন নাগরিকদের হাতে। তিনি আরও বলেন, ৩০ নবেম্বরের মধ্যে কুড়িগ্রামের ৩শ’ ৫ জন বাঘভা-ার ও সাহেবগঞ্জ সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে, লালমনিরহাটের ২৪৩ জন বুড়িমারী ও চেংরাবান্দা এবং পঞ্চগড়ে অবস্থানরত ভারতীয় ৪৩৯ নাগরিক চিলাহাটী ও হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গমন করতে পারবেন।
×