ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অন্নের কারিগররা যখন অসহায়

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

‘শুধু দুটি অন্ন খুঁটি কোনোমতে কষ্টক্লিষ্ট প্রাণ/রেখে দেয় বাঁচাইয়া।’ গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ, পূর্বে থেকেই এই ঐতিহ্য নিয়ে বেড়ে উঠেছে এদেশের বাঙালী কৃষকের জীবন। ফসল বোনে, সেই ফসল বড় করে যখন ঘরে তোলে তখন একটুখানি হাসির ছায়া মুখে ভেসে ওঠে তাদের। এই হাসিটুকুই হলো তাদের জীবনের একমাত্র আনন্দের সম্বল। কিন্তু প্রকৃতি কখনও কখনও আনন্দের এই শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নিয়ে যায়। অবিরাম বর্ষণে তলিয়ে নিয়ে যায় সেই সোনার ফসল। একজন কৃষকের এক মণ ধান উৎপাদন করতে খরচ হয় ৭০০-৮০০ টাকা, অথচ সেই ধান তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকায়। এক মণ ধান হাটে নিয়ে বিক্রি করে তা থেকে যে টাকা পায় পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই না কিনে ঘরে ফিরতে হয় কৃষককে। পরিবারের আপনজনদের ভাল একটি পোশাক কেনারও সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছে এই দুঃখী কৃষক। আর তখন তাদের জীবনের স্বাদ-আহ্লাদ ঘুমচে পড়ে। শুধু খেয়ে পরে জীবন চলার এই সংগ্র্রামের পথে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে বড় করার স্বপ্নও বিলীন হয়ে পড়ে। অর্থের অভাবে এভাবেই দেশের অনেক ভবিষ্যত অনায়াসে ঝরে পড়ে। এ বছর অবিরাম বর্ষণে দেশের বিভিন্ন জায়গা তলিয়ে গিয়েছে মাঠ ভর্তি ফসল। আগামী ডিসেম্বর জানুয়ারি ছাড়া আর তারা চাষ শুরু করতে পারবেন না। শুধু এখানেই শেষ নয়, এ ফসল ঘরে তুলতে আরও সময় লাগবে চার-পাঁচ মাস। এখন তারা শুধুই ভাবছে পরিবার নিয়ে কেমন করে এতদিন কাটাবেন। কি করবেন কিছুই ভেবে উঠতে পারছেন না। রবিঠাকুরের কথায়- ‘ওই- যে দাঁড়ায়ে নত শির মুখ সবে, ম্লানমুখে লেখা শুধু শত শতাব্দীর বেদনার করুণ কাহিনী। স্কন্ধে যত চাপে ভার বহি চলে মন্দগতি যতক্ষণ থাকে প্রাণ তার-’ তাই বলি আসুন সবাই মিলে এই অন্নের কারিগরদের নিয়ে একটু ভাবি। সব কিছু ভাসিয়ে দেয়া প্রকৃতির মতো যেন নিষ্ঠুর না হই আমরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে থাকি আর তাদের ঘাম ঝরা পরিশ্রমের ন্যয্যা মূল্য দেই। তবেই হয়ত তাদের জীবন একটুখানি সুখময় ও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। সুকদেব বিশ্বাস ংনলহঁ৯১@মসধরষ.পড়স পেঁয়াজের দাম কমানো হোক গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক ধাক্কায় ৩৫ টাকা থেকে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা উন্নীত হয়েছে। যার ফলে পেঁয়াজ মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। যাদের নুন আনতে পান্তা শেষ হয় তাদের পক্ষে এই দামে পেঁয়াজ কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের অবস্থা বিবেচনা করে সরকারের উচিত পেঁয়াজের দাম কমানো। নিজাম উদ্দিন নয়াবাজার কে সি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মৌলভীবাজার
×