ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

শত আগাছা নির্মূল হোক

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শত আগাছা নির্মূল হোক

দেশ যখন অগ্রগতির পথে, মধ্যম আয়ের মর্যাদার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে, তখন জাতীয় ঐক্য তত্ত্ব নিয়ে যারা হাজির হয়েছেন, তাদের বহিরঙ্গে মনে হবে শুভ লক্ষণ জাগ্রত হয়েছে। কিন্তু এতে তাদের কর্মপন্থায় কোন পরির্বতন ঘটেছে, এমন লক্ষণ সুপষ্ট নয়। সঙ্কটকালে দেশের, জাতির ঐক্য এবং সংহতি রক্ষার জন্য সকল প্রকার অনৈক্য, মতবৈষম্য সাময়িকভাবে মুলতবি রাখতে হয়, এটা আমাদের জানা। কিন্তু দেশে আজ সে সঙ্কট নেই, তাহলে কিসের সংহতি, কিসের ঐক্য? হতে পারে তা দেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তাত্ত্বিকরা সে প্রসঙ্গে যাচ্ছেন না। কিন্তু তারা যেসব দাবি উত্থাপন করেছেন, তা কোনভাবেই গণদাবি নয়। হলে জনগণই সরকারকে সে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করত। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগাছা উপড়ে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধুও বলতেন, বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর, তাই এখানে গাছের সঙ্গে কিছু পরগাছাও জন্মায়। যে জমিতে আগাছা আছে, সে জমিতে ফসল হয় না। আগাছা তুলে ফেলতে হয়। আগাছা রাজনীতিতেও ভরপুর। রাজনীতির ক্ষেত্রে এত অবাঞ্ছিত, দুশ্চরিত্র মানুষ কি করে এসে জুটল। সেও এক রহস্য। আসলে জোটেনি। এদের জোটানো হয়েছে। জুটিয়েছেন নেতারা নিজেরাই ভোটের লোভে, ক্ষমতার লোভে। লোভে পাপ, পাপে সর্বনাশ। এদের সংস্পর্শে রাজনীতি আজ অশ্রদ্ধেয়। এসব রাজনীতিক জনগণের শ্রদ্ধা হারাতে বসেছেন। সোজা কথায়, রাজনীতি এবং নেতৃত্ব দুই-ই ভোটের ‘ভিকটিম’। রাজনীতি হয়ে পড়েছে সন্ত্রাসের রাজা। ২০০১ সাল হতে তা দেখা গেছে। সকল প্রকার ‘দুষ্টামি-নষ্টামিকে’ প্রশ্রয় দিয়ে রাজনৈতিকদের চরিত্রকে দূষিত করে দিয়েছে। অদূরদর্শী রাজনীতির পরিণাম বহুদূরগামী। ভোটের লোভে অনুপ্রবেশকারী তথা আগাছাদের দুধ কলা দিয়ে পোষা হচ্ছে। একদিকে দেশের ঘাড়ে বিরাট জনবোঝা চাপানো, অপরদিকে জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। রাজনীতির পরোক্ষ প্রশ্রয়ে যে চোরাকারবার ফেঁপে উঠেছে। সে কারবারের পথেই এখন বিদেশ থেকে বিস্ফোরণের আগ্নেয়াস্ত্র আনা হচ্ছে। দেশেই উৎপাদন করা হয়েছে এবং হচ্ছে বোমা। নীতিবিহীন রাজনীতি রাজনীতিকদের চরিত্রহানি ঘটাচ্ছে। অসাধুতা এমন সর্বব্যাপী যে, দেশবাসী রাজনীতি এবং রাজনৈতিক নেতৃবর্গের ওপর আস্থা হারাতে বাধ্য। রাজনীতি করেও দুর্নীতিমুক্ত আছেন, এমন কথা ভাবা কঠিন হয়ে উঠেছে। অঘটন ঘটনকারী দুর্দান্ত ব্যক্তিরা ধরা পড়লে দেখা যাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রেই তারা নেতৃবর্গের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়পুষ্ট। নেতাদের মধ্যে চরিত্রবান ব্যক্তি আদৌ নেই, এমন কথা কেউ বলবে না। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন না। ড. কামাল হোসেন হঠাৎ হাওয়ার তোড়ে মাথা ঝাঁকি দেয়া আগাছার মতোই নড়েচড়ে উঠলেন। আবিষ্কার করলেন অনেকটা স্বপ্নাদেশ পাওয়ার মতো যে, সমগ্র জাতি আজ অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ। আর এই পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে এগারো দফা সংবলিত সনদও ঘোষণা করে ফেলেছেন। অবশ্য তিনি এটাও বলেছেন, জনগণই বিষয়টি বিবেচনা করবে। এটা যদি দেশ ও মানুষের জন্য হয়, তাহলে জনগণই তা কার্যকর করতে ঐক্যবদ্ধ হবে। ড. কামাল চাইছেন, সৎ, যোগ্য ও কার্যকর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার জন্য নির্বাচন। নিজে সৎ ও যোগ্য হিসেবে এক ধরনের পরিচিতি পেলেও পঁচাত্তর পরবর্তী একটি নির্বাচনেও জয় লাভ করতে পারেননি ড. কামাল। জাতীয় সংসদ কি জিনিস ভুলে গেছেন। জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিক হিসেবে মাঝেমধ্যেই জনগণের নামে যেসব দাবি উত্থাপন করেন, তার মধ্যে বাস্তবের কোন সম্পর্ক মেলে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার কথা এগারো দফায় নেই। বরং অনেকটা প্রচ্ছন্নভাবে তাদের পক্ষে যেন বলছেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের প্রতি সরকারকে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। এগারো দফা আদায়ে তিনি ঝুঁকি নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। তারই পাশে লবিংয়ের ক্ষেত্রে পারদর্শী ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের নাম পিঠে ঝুলিয়ে হিলারির কাছে ই-মেইল করে যা উল্লেখ করেছেন, আওয়ামী লীগ তাকে দেশবিরোধী চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে। হাসিনা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ, তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে বহাল রাখার জন্য হিলারির কাছে আবদারও রেখেছেন। নিজের স্বার্থে ইউনূস দেশকেও জলাঞ্জলি দিতে পারেন, তার জ্বলন্ত নিদর্শন এসব ইমেইল। ‘উদ্দিন’দের শাসনকালে ড. ইউনূস চরিত্র জনগণ দেখেছে। ক্ষমতার মসনদে বসার লোভে দল গঠন করতে গিয়ে দেখেছেন জনগণের কাছে তার কানাকড়ি মূল্যও নেই। আর নেই বলেই ড. ইউনূস মার্কিনীদের দরবারে তদ্বির করে আসছেন। ইউনূসহীন গ্রামীণ ব্যাংক ভালভাবেই চলছে। কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে, ঋণগ্রহীতারা আর আত্মহত্যা করছে না। আগাছা কোথায় নেই! দেশের জীবনে রাজনৈতিক দলসমূহের ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সংবাদপত্র কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের অভাব। রাজনৈতিক দল ভাবে আস্ফালনেই বীরত্ব জাহির হয়। সংবাদপত্র ভাবে চাঞ্চল্য সৃষ্টিতেই কৃতিত্ব প্রকাশ পায়। কোন কোন সংবাদপত্রের সংবাদ পরিবেশনা এবং হেডলাইন রচনা দেখলে কখনও কখনও সন্দেহ জাগে জিনিসটা স্বদেশী নাকি বিদেশী পাঠকের জন্য। কিংবা গঠনমূলক নাকি উস্কানিমূলক। দেশকে কৃষ্ণবর্ণে রঞ্জিত করে দেখাবার প্রচ্ছন্ন প্রয়াস মনে হতে পারে। কোন কোন সংবাদপত্রের ওপর বিদেশী প্রভাব থাকা কিছুই বিচিত্র নয়। জঙ্গীদের অর্থায়নও থাকতে পারে। দেশের ত্রুটি বিচ্যুতির উল্লেখ থাকবে না, এমন কথা বলা হচ্ছে না। তবে এখানেই সেই ডিগনিটির প্রশ্ন ওঠে। লেখার একটা ভঙ্গি আছে। সংবাদ পরিবেশনের দোষে শুধু যে দেশের সম্ভ্রমহানি ঘটে তা নয়, সংবাদপত্রে নিজেরও সম্মান থাকে না। রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র উভয়ই অতিমাত্রায় মুখর। উভয় স্থানেই আগাছারা বেশ বাকশিল্পে টইটম্বুর। সেজন্যই সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন, দেশের স্বার্থ ক্ষুণœ হতে পারে, জাতীয় সংহতি নষ্ট হতে পারে, এমন কোন কথা অসতর্কভাবে কখনও উচ্চারণ করা উচিত নয়, তা ড. কামাল, ড. ইউনূস এমনকি তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার অজানা নয়। রাজনীতিতে এদেরকে একসময় বৃক্ষ ভাবা হতো। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এরা আজ আগাছায় পরিণত হয়েছে। বেগম জিয়া জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটিয়ে, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পথ পরিহার করেছেন। আজকে তাই তার দলও বলছে, সব জায়গা থেকে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু সে কাজটা তারা তাদের নিজ দলেই শুরু করেনি। দীর্ঘদিন ধরে আগাছা, পরগাছা লালিত বিএনপি স্বকীয় ও স্বদেশী রাজনীতির পথে যেতে পারেননি। পঁচাত্তরের পরবর্তী সময়ে দেশে হিংসার রাজনীতির নয়া ধরন প্রবর্তন করেছিলেন সামরিক জান্তা শাসক ও রাজাকার পুনর্বাসনকারী জেনারেল জিয়া। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের হিংসাশ্রয়ী শাসনে পিষ্ট মানুষেরা আজও ভোলেনি দুঃসহ সেই সব ঘটনা। দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে অনেককেই। আজ সেই বিএনপি-জামায়াত জোটনেত্রী, যিনি পেট্রোলবোমা মেরে টানা তিন মাস জীবন্ত মানুষ হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভোল তিনি পাল্টাতেই পারেন। এখন বলছেন, সরকারপ্রধানকে লক্ষ্য করে, হিংসা বিদ্বেষের পথ ছেড়ে আসুন একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমরা পূর্বের মতো একসঙ্গে কাজ করি। কিন্তু পূর্বে কবে কোথায়, একসঙ্গে কাজ করা হয়েছে, তার হদিস পাওয়া যায় না। ১৯৯০ সালের আন্দোলনকালে তিন জোটের রূপরেখায় তথা যুক্ত ঘোষণায় যা যা ছিল, তার কিছুই ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে কার্যকর করেছেন, তার দৃষ্টান্ত মেলে না। বিরোধী সব দলের চাপে পড়ে অনেক গাঁইগুঁই শেষে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে সংবিধান সংশোধনে সম্মত হয়েছিলেন। সম্মিলিত সিদ্ধান্তে বিল পাস হয়েছিল সংসদে। কিন্তু সেই সংসদীয় ব্যবস্থাকে কার্যকর কতটা করেছেন, বিরোধী দলকে সংসদে যোগ দিতে কতবার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে, সংসদ নেত্রী নিজেই সংসদকে অবহেলা করে অধিবেশনে যোগ দিতেন না। সংসদে উপস্থিতি ছিল নামমাত্র। বিরোধী দলের আনা প্রস্তাব বা নোটিস কতটা গ্রাহ্য হয়েছে, তা কার্যবিবরণীতেই লিপিবদ্ধ রয়েছে। বৈদেশিক চুক্তি নিয়ে সংসদে কোন আলোচনা হয়নি, জাতীয় ইস্যুতে বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলা দূরে থাক, বিদ্বেষপূর্ণ ভাষ্যই শোনা যেত। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে যে হিংস্ররূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন বিএনপি, জামায়াত নেত্রী, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিদ্বেষপূর্ণ মামলায় জেলে পুরেছেন। মানুষের জীবনকে তিনি কানাকড়ি মূল্য দেন না, যা গত জানুয়ারি- এপ্রিলে প্রমাণ রেখেছেন। সেই তিনি কি ধরনের গণতন্ত্র চাইছেন তা স্পষ্ট। বিরোধী দলের ভূমিকাও তিনি অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী কর্মকা-ে নিমগ্ন। এখন তিনি মানবাধিকারের কথা বলেন, নিজের অমানবিক কর্মকা-কে চাপা দেয়ার জন্যই হয়ত। পঁচাত্তর-পরবর্তী সামরিক জান্তা ও তাদের উত্তরসূরিরা যে হিংস্র সমাজব্যবস্থা চালু করেছিল, সেই সমাজব্যবস্থাকে আমূল উৎপাটিত করে, সম্পূর্ণ এক নতুন সমাজ গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সকল শুভকর্মের উদ্দেশ্যই লোকহিত। সে পথ শেখ হাসিনা অনেক আগেই উন্মুক্ত করেছেন। দেশের ধন যাতে দশের ব্যবহারে লাগে সে পদক্ষেপেও সক্রিয়। প্রতিটি মানুষের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। তিনি এটাও বোঝেন, প্রতিটি মানুষকে খেটে খেতে হবে। বিদ্যা বুদ্ধি যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেককে যথাযথ যোগ্য কাজে নিয়োজিত করা হবে। কেউ বেকার এবং নিরক্ষর থাকবে না। বিনা চিকিৎসায় প্রাণ যাবে না। ক্ষুধার্ত মানুষ বলে কিছু থাকবে না। দরিদ্রের দুর্বলের অক্ষমের অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে বিবেকহীন সমাজ যুগ যুগ ধরে যে অন্যায়কে পোষণ করে এসেছে, শেখ হাসিনা তার অবসান ঘটাতে নিরলস শ্রম দিচ্ছেন। প্রতিটি মানুষের মনুষ্যচিত জীবনযাপনের এমন সুচিন্তিত, সুবিস্তীর্ণ অবস্থা মানুষ আগে কখনও দেখেনি, শোনেনি, ভাবেওনি। সেই রকম সমাজ তৈরি করতে চান। ‘তিমির বিদার উদার অভ্যুদয়’-এর আভাস দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি পদক্ষেপই সুদূরপ্রসারী, শুভ্র সম্ভাবনাময়। যেখানে একে অন্যের বিরুদ্ধে ঈর্ষা বিদ্বেষ পোষণ করবে না। হিংসা, লোভ, অহংভাব ইত্যাদি দুষ্ট রিপু থেকে মুক্ত হয়ে নতুন বাঙালীর সৃষ্টি হবে এবং পৃথিবীতে নতুন যুগের আবির্ভাব ঘটাবেন শেখ হাসিনা। আর তা ঘটানোর জন্যই রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বক্ষেত্রে বেড়ে ওঠা আগাছা নির্মূল করা জরুরী। ভ্রান্তির বেড়াজাল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক এসব আগাছারা। বিএনপি জামায়াত এবং কামাল হোসেনদের রাজনীতি তথা দলনীতি মানুষের মনের মতো দেশকেও ছোট করে দিয়েছে। শিখিয়েছে হিংসা বিদ্বেষ। মানুষ যেখানে হিংসায় উন্মত্ত, পরিবেশ সেখানে স্বভাবতই বিষাক্ত। বিষ মানুষের মনে, সে বিষই সংক্রমিত হচ্ছে পরিবেশ হয়ে রাজনীতিতে। মন নির্মূল হলে পরিবেশ ও রাজনীতি আপনিই নির্মল হবে। নদীর পানি, বায়ু হবে নির্মল, আকাশ হবে হাস্যোজ্জ্বল, চারদিক করবে আলোয় ঝলমল। দেশের মাটিতে জুড়াবে মানুষের অঙ্গ। শেখ হাসিনাকে সেই পথে যেতে হলে শত ফুল যেমন ফোটাতে হবে, তেমনি শত আগাছাও নির্মূল করতে হবে।
×