ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চিটাগাং সিমেন্টের সাক্ষীর পরবর্তী জেরা আজ

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চিটাগাং সিমেন্টের সাক্ষীর  পরবর্তী জেরা আজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চিটাগাং সিমেন্ট ক্লিংকার গ্রাইন্ডিং কোম্পানি লিমিটেডের (বর্তমানে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার সাক্ষীর পরবর্তী জেরা হবে আজ রবিবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলার এক সাক্ষীর জেরা শেষে পরবর্তী শুনানির এ তারিখ ধার্য করা হয়। মামলার সাক্ষী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ছিয়ানব্বইয়ের শেয়ার কেলেঙ্কারি তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম চৌধুরীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মোহাম্মদ মোহসেন রশিদ। গত মঙ্গলবার আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর জেরা শেষ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইজীবীরা। আদালতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে ছিলেন সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান, উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান। বিএসইসির পক্ষে এ্যাডভোকেট মাসুদ রানা খান। মামলার আসামিরা হলেন - ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও চিটাগাং সিমেন্ট লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান, ডিএসই ও চট্টগ্রাম সিমেন্টের সাবেক পরিচালক এএস শহুদুল হক বুলবুল এবং টিকে গ্রুপের আবু তৈয়ব। আবু তৈয়ব অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। উল্লেখ, ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিএসইসির পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চিটাগাং সিমেন্টের ১০০ টাকার ফেস ভ্যালুর মোট ১২ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার ছিল। প্রতিটি শেয়ারের বুক ভ্যালু ছিল ১৩৪ টাকা। আসামি দুজন ওই সময়ে অবৈধ ও প্রতারণামূলকভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৩০ জুন কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২ হাজার ৫৮৫ টাকা। কারসাজির মাধ্যমে ওই শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়। এর ফলে প্রতিটি শেয়ারের দর ওই বছরের ৩১ জুলাই ৩ হাজার ৫২ টাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর ৩ হাজার ৭৪৭ টাকা, ৩১ অক্টোবর ৮ হাজার ৮৮২ টাকা এবং ১৬ নবেম্বর ১৫ হাজার ৬৯৪ টাকা পর্যন্ত ওঠে।
×