ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী খুলনা যাচ্ছেন আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী খুলনা যাচ্ছেন আজ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত সফরে আজ রবিবার খুলনা আসছেন। টানা দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটা তাঁর প্রথম খুলনা সফর। দুপুরে তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডে নৌবাহিনীর দু’টি বড় যুদ্ধজাহাজ নির্মাণকাজ ও নির্মিত একটি কন্টেনার ভ্যাসেল উদ্বোধন করবেন। এর আগে তিনি মংলায় নির্মিত তিনটি জাহাজের কমিশনিং ও নবনির্মিত দু’টি এলসিটি নৌবাহিনীতে সংযুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ আগমন ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে খুলনা। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নগরজুড়ে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টাযোগে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে রবিবার বেলা ১১টায় মংলায় অবতরণ করবেন। এরপর তিনি দুপুর ১২টা পর্যন্ত দিগরাজ নৌ জেটি বানৌজা মংলায় বানৌজা কে.জে. আলী, বানৌজা সন্দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়া জাহাজের কমিশনিং এবং এলসিটি-১০৩ ও এলসিটি-১০৫ নৌবাহিনীতে সংযুক্তিকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। এরপর তিনি মংলা থেকে হেলিকপ্টারযোগে খুলনার খালিশপুরে বানৌজা তিতুমীরের হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডে যাবেন। দুপুর একটা ২৫ মিনিট থেকে দুইটা ১০ মিনিট পর্যন্ত খুলনা শিপইয়ার্ডে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি নৌবাহিনীর দুটি লার্জ পেট্রোল ক্রাফটের (এলপিসি) নির্মাণকাজ এবং নির্মিত একটি কন্টেনার ভ্যাসেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। পরে তিনি খালিশপুরে বানৌজা তিতুমীরে পৌঁছে নামাজ আদায়, দুপুরের খাবার গ্রহণ ও কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। খুলনা শিপইয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশের মাটিতে সর্বপ্রথম খুলনা শিপইয়ার্ড বড় দু’টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করতে যাচ্ছে। সশস্ত্রবাহিনীতে এগুলো লার্জ পেট্রোল ক্রাফট বা এলপিসি নামে পরিচিত। এতদিন এ ধরনের যুদ্ধজাহাজ বিদেশ থেকে কেনা হত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় এবার দেশের মাটিতে বড় যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ড। এ দু’টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের জন্য ইতোপূর্বে নৌবাহিনীর সঙ্গে খুলনা শিপইয়ার্ডের চুক্তি হয়। প্রতিটি জাহাজের দৈর্ঘ্য ৬৪ দশমিক ২০ মিটার এবং প্রস্থ ৯ মিটার। এর গভীরতা হবে ৪ মিটার। সমুদ্রপথে ঘণ্টায় ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলবে এটি। জাহাজে ৭০ জন একসঙ্গে থাকতে পারবেন। শিপইয়ার্ডের শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা এ যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ কাজে অংশ নিচ্ছেন। চীনের যুদ্ধজাহাজ বিশেষজ্ঞরা এতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছেন। শুরুর দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষে নগরীর খালিশপুরের বানৌজা তিতুমীর এলাকা থেকে খুলনা শিপইয়ার্ড পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে অসংখ্য তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড।
×