ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১৭ দিন ধর্ষণের পর ছাত্রীকে বাঁশঝাড়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

১৭ দিন ধর্ষণের পর ছাত্রীকে বাঁশঝাড়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও গণধর্ষণের ১৭ দিন পর দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রীটির মা। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গেলেও কোন আসামিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলা সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মুশরুত পানিয়াল পুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী এবং মুশরুত পানিয়াল পুকুর গ্রামের রবিউল ইসলামের কন্যা ১৫ আগস্ট রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে আসে। এ সময় একই ইউনিয়নের বাড়িমধুপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মানিক মিয়া (১৮)সহ ৪ জন মেয়েটিকে অপহরণ করে। মেয়েকে উদ্ধারে পরিবারের লোকজন বিভিন্নস্থানে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। অপহরণ করার পর বিভিন্ন স্থানে রেখে তার সহযোগীসহ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে ফেলে দিয়ে যায় আসামিরা। মামলার বাদী মেয়ের মা ছবিতন বেওয়া জানায়, রাতে বাঁশঝাড় থেকে আমার মেয়ের মা ডাক শুনে ছুটে গেলে মেয়েটিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে কিশোরীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে মেয়ের মুখে গণধর্ষণের কথা শুনে রাতেই থানায় মামলা করি। পিরোজপুরে দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার নিজস্ব সংবাদদাতা পিরোজপুর থেকে জানান, নাজিরপুরে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে ৩ দিন আটক রেখে ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে এক কলেজছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজছাত্রী ধর্ষককে হাতে-নাতে ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করা হলে তিনি বিচারের কথা বলে ধর্ষককে জিম্মায় ছেড়ে দেন। এ দুই ঘটনায় বুধবার রাতে নাজিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১ জনকে আটক করেছে। থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর হোগলাবুনিয়া গ্রামের সোনামুদ্দিন শেখের ছেলে ৩ সন্তানের জনক আছাদ শেখ (৩০) ও একই গ্রামের সোনামুদ্দিনের ছেলে সলেমান (৩৫) প্রতিবেশী ওই ছাত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করে তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে কথা আছে বলে তাকে ডেকে নিয়ে তার মুখ বেঁধে অন্য এক বাড়িতে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে ৩ দিন আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, ৩ দিন ধরে তার মেয়েকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুঁজির পর গত মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার একটি বাড়ি থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ সংবাদ পেয়ে নাজিরপুর থানা পুলিশ ওই রাতেই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ধর্ষক সলেমানকে এলাকাবাসী আটক করে থানায় সোপর্দ করে। অপরদিকে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান গ্রামের ফজর আলী হাওলাদারের ছেলে কামরুল হাওলাদার (২৫) কলেজে আসা যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত ১৯ আগস্ট সকালে ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়ার সময় রাস্তায় একা পেয়ে কামরুল হাওলাদারসহ অজ্ঞাতনামা একজন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আটক রেখে দিনভর ধর্ষণ করে। ওই দিন রাতে ধর্ষক কামরুল মোটরসাইকেলযোগে ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঢাকা-পিরোজপুর আঞ্চলিক সড়কের বাঘাজোড়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে ধর্ষিতা চিৎকার দিলে কামরুল তাকে পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার শুনে পথচারীরা ধর্ষক কামরুলকে আটক করে এবং কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাতেই মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়সাল আলম রঞ্জুর বাড়িতে নিয়ে যায়। ধর্ষক কামরুল চেয়ারম্যান রঞ্জুর এলাকার হওয়ায় তিনি পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দিবেন বলে কলেজ ছাত্রীর বাবাকে ডেকে তার নিকট মেয়েকে দিয়ে দেন এবং ধর্ষক কামরুলকে ছেড়ে দেন। চাকরি দেয়ার নামে তরুণীকে ধর্ষণ স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল থেকে জানান, বেনাপোলে নার্সের চাকরি দেয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্যামল সিং নামে এক ডাক্তারকে আটক করেছে পোর্ট থানা পুলিশ। বুধবার রাতে বেনাপোলে পোর্ট থানার সামনে স্থলবন্দর এলাকার মাহে আলমের বাড়ি থেকে পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক ও মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকত। আটক শ্যামল সিং কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানার বড়ঘুপ বাজার এলাকার মৃত কৃষ্ণ মোহন সিংহের ছেলে। এ ঘটনায় তরুণী নিজেই বাদী হয়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে। পুলিশ জানায়, শ্যামল সিং নামের এক হাতুড়ে ডাক্তার ওই তরুণীকে নার্সের চাকরি দেয়ার কথা বলে সাতক্ষীরা থেকে বেনাপোলে ডেকে এনে আটকে যৌন নির্যাতন করছে এমন খবরে ওই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার ও তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
×