ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বরিশালে বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ভারিবর্ষণ ও প্রবল জোয়ারের পানির স্রোতে জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া এলাকার ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সন্ধ্যানদীর পানিতে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে ওইসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পানের বরজ, মাছের ঘের, উঠতি আমন ধান ও বীজতলা তলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, বুধবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন হানুয়া, আশোয়ার, বান্না অংশের ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সন্ধ্যা নদীর পানিতে হানুয়া, আশোয়ার, বান্না, বানকাঠী, পূর্ব মাদারকাঠী, পূর্ব নারায়ণপুর, নিত্যানন্দী, হরিদ্রাপুর, কমলাপুর ও দোসতিনা গ্রাম প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বগুড়ায় আমনে বিপর্যয় স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস থেকে জানান, যমুনার পানি ফের বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারিয়াকান্দিতে যমুনা বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দিন কয়েক আগে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর ছিল। স্রোতের তীব্রতাও বেড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার উঠতি আমন ধান গাছ ডুবে গেছে। সিরাজগঞ্জে ফের পানি বৃদ্ধি স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, যমুনা নদীতে সিরাজগঞ্জ পয়েন্ট পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বি’বাড়িয়ায় পানি বাড়ছে স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, বৃদ্ধি পেয়েছে সব কটি নদ-নদীর পানি। জেলার ৬টি পয়েন্টের মধ্যে ৪টি পয়েন্টের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিতাস নদীর পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গাইবান্ধায় ক্ষতি ২৭৬ কোটি টাকা নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা থেকে জানান, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও করতোয়া নদনদীর পানি আবারও বৃহস্পতিবার রাত থেকে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার ২৬ সে. মি. এবং ঘাঘটের পানি ৩ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নিমজ্জিত ফসলি জমির মধ্যে ৩০ হাজার ১৭৪ হেক্টর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বন্যায় ২৭৬ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কিশোরগঞ্জে দুশ্চিন্তায় কৃষক নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে ওইসব এলাকায় রোপিত শত শত হেক্টর রোপা আমন জমি এখন প্রায় ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে জমিতে কৃষকের হাড়ভাঙা খাটুনি ও আনুষঙ্গিক খরচের পর বৃষ্টিতে আমনের চারা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। নীলফামারীতে তিস্তার রুদ্রমূর্তি স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, তিস্তা ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। রাক্ষুসে তিস্তার রুদ্রমূর্তি তীরবর্তী মানুষের জন্য এখন আতঙ্ক। উজানের ঢল এলে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি থেকে জানান, ভারি বষর্ণে কাপ্তাই হ্রদে পানি আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটি শহরের নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত প্রচুর বসতবাড়ি ডুবে গেছে।
×