ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রমা সেন্টার চালু হয়নি ৯ বছরেও

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ট্রমা সেন্টার চালু হয়নি ৯ বছরেও

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী, ৩ সেপ্টেম্বর ॥ ফেনী ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার এবং প্রসাশনিক অনুমোদন পাওয়ার ৯ বছর পরও চালু হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য মহাসড়কের পাশে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাতটি ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়। ফেনী ট্রমা সেন্টার তার মধ্যে একটি। লোকবল নিয়োগ ও বাজেট নিয়ে জটিলতা ও সঙ্কট থাকায় ফেনী ট্রমা সেন্টারটি চালু করা যাচ্ছেনা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এবং বিভিন্ন ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত ও জরুরী চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপালে ফেনী ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয় ২০০৬ সালে। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এক একর জায়গার ওপর ২০ শয্যার এ সেন্টার নির্মাণ করা হয়। সেন্টারটিকে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রসাশনিক অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু ১৭ জন ডাক্তার কর্মচারীর পদের মধ্যে ২ জন নাস ও একজন আয়া ছাড়া সব ক’টি পদ শূন্য রয়েছে। সেন্টারে যন্ত্রপাতি থাকলেও অযতেœ-অবহেলায় মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নূরজাহান বেগম ডেপুটেশনে নিযোগ দেয় সেকমো (চিকিৎসা সহকারী) জানান, বিশাল ৩ তলা ভবনে নেই বিদ্যুত, পানি ও গ্যাস সংযোগ। রাতের আঁধারে এ ক্যাম্পাসটি মিলনমেলায় রূপ নেয় বখাটে ও মাদক আসক্তদের। সেন্টারের সীমানা প্রাচীরের বাইরের পাশের বক্ষব্যাধি সেন্টার থেকে বিদ্যুতের একটি লাইন নিয়ে সামনে একটি বাতির ব্যবস্থা করেছে নিয়োগ তিন কর্মচারী। যেটুকু পরিষ্কার করা হচ্ছে তাও তাদের নিজের ব্যক্তিগত পয়সায়। ডাঃ তোবারক উল্লাহ চৌধুরী বায়েজিদ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মীরসরাই, জানান- উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ায় ফেনী ট্রমা সেন্টারটি চালু হচ্ছে না। ট্রমা সেন্টারটি চালু থাকলে আহত রোগীদের রক্তক্ষরণসহ গোল্ডেন আওয়ার বলে যে কথাটি আছে তা প্রয়োগ করে অনেক রোগীকে অকালে পঙ্গুত্ব ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা যেত। অবশেষে মোরেলগঞ্জে ছাত্রী নিপীড়নকারী শিক্ষক গ্রেফতার হাইকোর্ট রুল জারির পরে মামলা স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নকারী প্রধান শিক্ষক পরবন্ধু সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারির পর থানা পুলিশ ওই ছাত্রীর পিতা শঙ্কর লাল বিশ্বাসকে খুঁজে বের করে বুধবার রাতে মামলা নিয়ে আসামি পরবন্ধু সরকারকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করে। পরবন্ধু সরকার (৫০) শৌলখালী সুহাসিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পরেও ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় গত ৩১ আগস্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি এ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন হালদার হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজপি, বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার ও মোরেলগঞ্জ থানার ওসিকে প্রতিপক্ষ করা হয়। ওই পিটিশনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের যৌথ বেঞ্চ আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাত্রী নিপীড়নের বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রতিপক্ষের কাছে। পুলিশ এই রুলের কপি পেয়ে বুধবার রাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড় করে।
×