ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামের যুবলীগ কর্মী মেহেদী হত্যার ঘটনা রহস্যাবৃত

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চট্টগ্রামের যুবলীগ  কর্মী মেহেদী হত্যার ঘটনা রহস্যাবৃত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা শেরশাহ কলোনি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মেহেদী হাসান বাদল (৪০)। মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে নিজ বাসার সামনেই তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন। দলের অভ্যন্তরীণ বা স্থানীয় বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকা- ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বুধবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহত মেহেদী হাসান বাদল নগরীর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নগর আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঘটনা অবগত হয়ে রাতেই মেয়র হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তিনি মেহেদীর স্বজনদের সান্ত¡না দেন। মেহেদী তিন সন্তানের জনক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চসিক মেয়র বলেন, এলাকায় কোন কোন্দল ছিল না। এটি গুপ্তহত্যা হতে পারে। হত্যাকারী যেই হোক তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে বলেছি। বায়েজিদ থানা ও মেহেদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাত দশটার দিকে আরও ২ জনসহ যাচ্ছিলেন মেহেদী হাসান বাদল। হঠাৎ পেছন থেকে মেহেদীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। গুলিটি তার ঘাড়ে লাগলে তিনি লুটিয়ে পড়েন। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চমেক হাসপাতালে। রাত সাড়ে দশটার দিকে চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ এখনও হত্যাকা-ের ক্লু উদঘাটন করতে না পারলেও মেহেদীর পারিবারিক সূত্রের দাবিÑ শফি, কুদ্দুস, সাদ্দাম এবং তাদের অনুসারীরা মেহেদীকে গুলি করে হত্যা করেছে। কিছুদিন আগেও বায়েজিদ এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা চারজনকে কুপিয়ে আহত করেছিল। সে ঘটনায় মেহেদী বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু এর প্রেক্ষিতে পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মেহেদী নিহত হওয়ার খবরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হত্যাকা-ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েকশ নেতাকর্মী জড়ো হয় চমেক হাসপাতাল জরুরী বিভাগের সামনে। সেখানে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। মঙ্গলবার রাতেই চমেক হাসপাতালে যান সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কেএম শহিদুর রহমান ও দেবদাস ভট্টাচার্য। তারা বলেন, হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা চলছে। যত দ্রুত সম্ভব খুনীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে যুবলীগ কর্মী মেহেদীর বিরুদ্ধেও এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে।
×