ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দাসিয়ারছড়ায় অনুমোদনহীন স্কুল তৈরির হিড়িক

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দাসিয়ারছড়ায় অনুমোদনহীন স্কুল তৈরির হিড়িক

রাজুমোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ সরকারী কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই, তারপরও ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাটক্ষেত, ধানক্ষেত, পতিত জমি, বাঁশঝাড়, মসজিদ সবখানে ঝুলছে বিভিন্ন নামে-বেনামে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের সাইনবোর্ড। অনুমোদন ছাড়াই সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় ২৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেআইনী কার্যক্রম চলছে। নিয়োগ বাণিজ্য ও আধিপত্য বিস্তারেই এর মূল কারণ। সাড়ে সাত বর্গ কিমি দাসিয়ারছড়ায় লোকসংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সদস্যদের মাঝে দলীয় গ্রুপিং, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির টানাটানিতে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সন্তান ও স্বজনদের চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে জমিদানের প্রতিশ্রুতি আদায়ের পাশাপাশি লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে এক শ্রেণীর মানুষ রাতারাতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায় প্রস্তাবিত প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে ১৫টি। নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮টি, মাদ্রাসা ৩টি এবং ১ মহাবিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে কলেজ, মাদ্রাসা ও নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১ একর এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩০ শতক করে জমি দানসূত্রে নেয়া হয়। বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, অনেক প্রতিষ্ঠানে টাকা নেয়া হচ্ছে। সরকারী বিধিবিধান উপেক্ষা করে নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার এটা দুঃখজনক। আমরা যারা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, আমাদের সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু যারা এতদিন ছিটমহল বিনিময় কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছে, তারাই এখন ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র স্কুলের সাইনবোর্ড তুলে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন। জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, ব্যক্তিপর্যায়ে নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সরকারী কোন নির্দেশনা নেই। প্রয়োজনে সরকার বিদ্যালয় স্থাপন করবে। কিশোরগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছিত ॥ শিক্ষার্থী বহিষ্কার নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৩১ আগস্ট ॥ গুরুদয়াল সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষসহ তিন কলেজ শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে বহিরাগতদের সহযোগিতা করার অভিযোগে কলেজের একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখার তাকবির উদ্দিন রাকিবকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। লাঞ্ছিতের ঘটনার পর শিক্ষক পরিষদের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার কথা নিশ্চিত করেছেন কলেজের উপাধ্যক্ষ ফজলুল হক সাগর। কলেজ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে কলেজসংলগ্ন মানিক ফকির গলির বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে গুরুদয়াল কলেজের শিক্ষার্থী তাকবির উদ্দিন রাকিব কয়েকজন বহিরাগতকে নিয়ে একই বর্ষের শিক্ষার্থী সোহানকে কলেজ ক্যাম্পাসে মারতে যায়।
×