ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্থানীয় নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন সৌদি নারীরা

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

স্থানীয় নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন সৌদি নারীরা

সৌদি আরব স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে দেশটির নারীদের প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দিয়েছে। রবিবার থেকে এর নিবন্ধন শুরু হয়েছে। অতি রক্ষণশীল মুসলিম দেশটির প্রথম ঐতিহাসিক পদক্ষেপ এটি। যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোসহ প্রতি পদে পদে অনেক বাধা রয়েছে, সেখানে নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পদক্ষেপকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে কট্টরপন্থী রক্ষণশীলরা এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন। এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও নারীদের সমান অধিকার দেয়া না হলে তারা বেশিদূর যেতে পারবেন না। চলতি মাসের প্রথম দিকে আরেকটি প্রথম পদক্ষেপ নেয়া হয়। তা হলো নারীদের ভোটার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া। তারা দেশটিতে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে। সৌদি ব্লগার ইমান আল-নাফজান বলেছেন, নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদের কিছু বড় বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন, নারীদের একা চলাফেরা করা। তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটির প্রয়াত বাদশাহ আব্দুল্লাহ ২০১১ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, চলতি বছরের স্থানীয় নির্বাচনে নারীরা ভোট দিতে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সৌদি সংবাদপত্র আল-হায়াত চলতি মাসে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রায় দুইশ নারী প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের প্রার্থী নিবন্ধন ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এবং চলবে সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ পর্যন্ত। আর ভোটার নিবন্ধন শুরু হয়েছে ২৪ আগস্ট থেকে এবং চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দেশজুড়ে ২৮৪টি পৌরসভায় এক হাজার ২৬৩টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। -এএফপি মিসরে পার্লামেন্ট নির্বাচন ॥ ১৭ অক্টোবর ভোট শুরু আগামী অক্টোবর ও ডিসেম্বরে মিসরের দীর্ঘ বিলম্বিত পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির তার ইসলামপন্থী পূর্বসূরীকে উচ্ছেদ এবং বিরোধী দলের ওপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পর এই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন প্রধান আয়মান আব্বাস রবিবার বলেন, ১৭ অক্টোবর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বছরের শেষনাগাদ ৫৬৮ আসনের নতুন পার্লামেন্ট কাজ শুরু করবে। খবর এএফপির। তৎকালীন সেনাপ্রধান সিসি ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার দু’বছরেরও বেশি সময় পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মুরসির বর্তমানে নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুড দল ২০১১ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিসি অনুগতরা নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যায় জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা কায়রোর পশ্চিমী সমর্থকদের তুষ্ট করতে কাজে লাগবে- যারা দমনপীড়নের ব্যাপারে উদ্বেগ সত্ত্বেও প্রেসিডেন্টকে জিহাদী সহিংসতার বিরুদ্ধে গতিরোধক হিসেবে দেখে থাকে।
×