ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

উচ্চশিক্ষায় গবেষণা প্রতিবন্ধকতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এমফিল ও পিএইচডি গবেষণার ক্ষেত্রে প্রতিবছর ফেলোশিপ প্রদান করে থাকে। উক্ত ফেলোশিপে গবেষকগণ উৎসাহিত হয়ে থাকেন। তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন এবং দেশের উন্নয়নের নতুন পথপ্রদর্শন করছেন। তাদের গবেষণার ফল বিশ্বদরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ১২-০৫-২০১৩ইং তারিখের ৩৯.০১২.০২২.০১.০০.০০১.২০১০-নং স্মারকের পরিবর্তিত নীতিমালায় গবেষকদের অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। চাকরিজীবী প্রার্থীদের ফেলোশিপের আবেদনের বয়স সর্বোচ্চ ৪৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রেও নতুন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমফিল বা পিএইচডি কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব যুক্তিসঙ্গত নীতিমালা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞ নির্বাচকম-লী যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থীকেই পিএইচডি কিংবা এমফিল কোর্সে ভর্তির অনুমতি প্রদান করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নতুন করে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তারোপ শুধু অপ্রয়োজনীয় নয় গণস্বার্থ বিরোধীও। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বয়স কোন বাধা হতে পারে না। ১০৪ বছর বয়সেও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে আছে। অনেক জ্ঞান-তাপস ৯০ বছর বয়সের পরও বিজ্ঞান সাধনার জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। উচ্চশিক্ষার গবেষণার ফল পৃথিবীর প্রযুক্তি ভা-ারে নতুন অবদান সংযুক্ত করে এবং দেশের সমস্যা সমাধানে ও অগ্রগতিতে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। এসব সম্ভাবনার দ্বার কেন সীমিত করা হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ফেলোশিপের আবেদন উন্মুক্ত করা হোক। দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে ফেলোশিপ প্রদান করা হোক। রফিকুল ইসলাম সারদা ঘোষ (বাই লেন) সদর, ময়মনসিংহ বৃহস্পতিবার বন্ধ কেন? দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জেলা গণগ্রন্থাগার। এই গ্রন্থাগারে প্রতিদিন অনেক জ্ঞানপিপাসু জ্ঞানচর্চার জন্য আসে। এই গণগ্রন্থাগারটি রহস্যজনক কারণে বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে। এ নিয়ে সবারই প্রশ্ন, বৃহস্পতিবার বন্ধ কেন? গ্রন্থাগারের নিয়মানুযায়ী শনিবার থেকে বুধবার গ্রন্থাগার খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এবং অন্যান্য সরকারী ছুটির দিন বন্ধ থাকে। আমরা সবাই জানি গ্রন্থাগারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো গ্রন্থাগারও একটি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এবং জ্ঞানচর্চার স্থান বলে বিবেচিত। দেশের সব সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি বৃহস্পতিবার খোলা থাকে তাহলে গ্রন্থাগার খোলা থাকবে না কেন? বৃহস্পতিবার গ্রন্থাগার খোলা থাকলে সরকারের ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নাই। বরং জ্ঞানপিপাসুরা জ্ঞানচর্চার একটি নতুন দিন পাবে। অবিলম্বে বন্ধ থাকা দিনটিকে চালু না করলে আমরা অনেক পিছিয়ে যাব এতে কোন সন্দেহ নেই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিপ্লব হোসেন মাহুতপাড়া, দিনাজপুর
×