অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে যড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। রবিবার রূপালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাইরের আরও কিছু লোক নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে বিভ্রান্ত করে এম ফরিদ উদ্দিনকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চক্রান্তকারীরা তাকে হয়রানি করার উদ্দেশে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া হিসেবে প্রমাণ করতে অসত্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে বিষয়টি পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করেই দুদক ও রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবরে চিঠি দিয়েছে। বর্তমান পেক্ষাপটে চিঠির বক্তব্য সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বলে দাবি করেছে রূপালী ব্যাংক। এতে বলা হয়, এম ফরিদ উদ্দিনের নাম মুক্তিবার্তায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। যার নম্বর ০৬০৫০৫০৪৫৩। যার ভিত্তিতে তার সনদপত্র প্রত্যয়ন করা হয়। তার অনুকূলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ রয়েছে। যার সনদ নম্বর ২৭২২৩। যেটি ২১-০৮-২০০০ প্রদান করা হয়েছে। তার অনুকূলে গেজেট রয়েছে যার নম্বর-২৪৫১। যেটি ১৪-০৫-২০০৫ তারিখে দেয়া হয়। পাশাপাশি তার রয়েছে সাময়িক সনদ। যার নম্বর ৯৯৭৩৭। যেটি প্রদান করা হয়েছে ২২.০৬.২০০৬ তারিখে। এছাড়া লাল বার্তায়ও তার নাম রয়েছে। সরকারী গেজেট অনুযায়ী একজন মুক্তিযোদ্ধার বয়স ২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল অনুযায়ী ন্যূনতম ১৩ বছর পর্যন্ত হবে। কিন্তু এম. ফরিদ উদ্দিনের ওই সময় বয়স ছিল ১৯ বছর। এসএসসি সনদ অনুযায়ী এম ফরিদ উদ্দিনের জন্ম তারিখ ৮ জুলাই ১৯৫২। বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রফিকুল হক নিশ্চিত করেছেন বলে রূপালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন বলেন, পেশাগত কর্মকা-ের সফলতার ভিত্তিতে রূপালী ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ায় একটি স্বার্থন্বেষী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা-বানোয়াট, মনগড়া এবং মানহানিকর তথ্য প্রচারের মাধ্যমে আমার ও ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এ বিষয়ে মুক্তিবার্তা, লালবার্তা, বাংলাদেশ গেজেট, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ, মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সনদ এবং তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত। সুতরাং, এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন লেশমাত্র সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমি সরকারের নিকট সার্বিক সুরক্ষা এবং সহযোগিতা কামনা করছি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: