ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়হীনতা

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৮ লাখ প্রবাসী এমআরপি পাচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৩১ আগস্ট ২০১৫

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৮ লাখ প্রবাসী এমআরপি পাচ্ছে না

ফিরোজ মান্না ॥ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) হাতে পাচ্ছে না প্রায় ৮ লাখ প্রবাসী। এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতায় কারণে। এ জন্য এমআরপি দেয়ার কাজটি যথাসময়ে শেষ হচ্ছে না বলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সরকারী হিসেবে প্রবাসে ৮৮ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করছেন। এর মধ্যে ৭৫ লাখের কিছু বেশি মানুষের এমআরপি দেয়া সম্ভব হয়েছে। বাকিদের এমআরপি এখনও হয়নি। পৌনে দুই মাসে এই বিপুল সংখ্যক লোকের এমআরপি দিতে পারবে না পাসপোর্ট অধিফতর। বর্তমানে প্রতিদিন প্রবাসে ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করতে পারছে। এতে আগামী ২৪ নবেম্বর পর্যন্ত আরও চার থেকে পাঁচ লাখ প্রবাসী এমআরপি পেতে পারেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকিদের দেশে ফিরে আসতে হবে। কোন কোন দেশের দূতাবাস বা হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অনেককেই ‘আউট পাস’ নিয়ে রাখতে বলেছেন; যাতে দেশে ফিরতে তাদের কোন অসুবিধায় পড়তে না হয়। সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৪ নবেম্বরে শেষ হচ্ছে এমআরপি দেয়ার সময়সীমা। এই সময়ের মধ্যে এমআরপি হাতে না পেলে লাখ লাখ প্রবাসীকে দেশে ফিরতে হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে এমআরপি দেয়া সম্ভব হবে না বলে প্রতিনিয়ত প্রবাসীরা অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। তারা এমন কথাও জানিয়েছেন, এমআরপি দেয়া নিয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে এমআরপি দেয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করে এমআরপি নিয়ে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি বলছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এমআরপি দেয়ার কাজ শেষ হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি তাদের কানে এলেও এখন পর্যন্ত কোন দূতাবাস বা হাইকমিশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে অনিয়মের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এমআরপির কারণে কোন প্রবাসীকেই দেশে ফিরতে হবে না এটা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনে অতিরিক্ত লোকবল কাজ করছে। এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রবাসীদের এমআরপি দেয়ার কাজ যথাসময়ের আগেই শেষ হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ৭৫ লাখ প্রবাসীর হাতে এমআরপি তুলে দেয়া হয়েছে। বাকি ১৩ থেকে ১৪ লাখ প্রবাসীর হাতে এমআরপি দেয়ার কাজ বাকি রয়েছে। এই পাসপোর্টগুলো ২৪ নবেম্বরের মধ্যে শেষ করতে না পারলে কয়েক লাখ প্রবাসীকে দেশে ফিরে আসতে হবে। এখন এমআরপি নিয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এ সম্পর্কে আরও দুই বছর আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সময়মতো বিষয়টি নিয়ে যথাযথ উদ্যোগ না নেয়ায় প্রবাসীদের বড় ধরনের সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে। পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় যথাযথ ভূমিকা পালন করলে আজকের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ আইকাও’র সঙ্গে এমআরপি চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে ২০১০ সালে। দীর্ঘদিনেও প্রকল্পের কাজে হাত দেয়া হয়নি। আর এই দীর্ঘ সময়ে বহু মানুষ প্রবাসে চাকরি নিয়ে গেছেন। তারাও যদি এমআরপি নিয়ে যেতে পারতেন তাহলেও আজকের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। জানা গেছে, আইকাও প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অনুরোধ নাকচ করে দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে এমআরপি দেয়ার সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। এখন আইকাওয়ের আর কিছু করার নেই। আইকাওয়ের এই জবাবের পর নড়েচড়ে বসেছিল সরকার। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ওই ঘোষণার পর বেশ কয়েক দফা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে। এখন আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর বলা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রবাসীদের হাতে এমআরপি তুলে দেয়া সম্ভব হবে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই এমআরপির কাজ শেষ করার জন্য বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনে বাড়তি জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি ঘোষণা কতটা সত্য হয় তা দেখার জন্য এ বছরের ২৪ নবেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এর আগে বাংলাদেশ এমআরপির বিষয়ে আরও কয়েক দফা সময়সীমা বাড়িয়ে নিয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ প্রবাসীদের এমআরপি দিতে পারেনি। এখন চূড়ান্ত দিন-তারিখ বেঁধে দেয়া হয়েছে। এই সময়ের পর আর কোন সময়সীমা দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আইকাও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল হক এর আগে জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। প্রতিটি দূতাবাস ও হাইকমিশনে বাড়তি জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এমআরপি প্রবাসীদের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে। এমআরপির জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে সব দেশে প্রবাসীর সংখ্যা বেশি সেই সব দেশে মোবাইল টিম কাজ করবে; যাতে কর্মীদের কষ্ট করে দূতাবাস বা হাইকমিশনে আসতে না হয়। এমআরপি নিয়ে বৈঠকে দূতাবাস ও হাইকমিশনের কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া গেলে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ বিদেশে কাজ করছেন। তাদের কথা চিন্তা করেই এমআরপির কাজ দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে করা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ব্যবহারে বাধ্যবাধকতার সময়সীমা ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর বাংলাদেশের প্রস্তাব নাকচ করেছে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও)। চলতি বছরের ২৪ নবেম্বরের পর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ কিংবা বিদেশ অবস্থান করা যাবে না। ফলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসী কর্মীরা। সরকারী হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ প্রবাসীর হাতে এমআরপি নেই। গত পাঁচ বছরে এমআরপি দেয়া সম্ভব হয়েছে ৭৫ লাখ প্রবাসীকে। তাছাড়া এমআরপি দেয়া নিয়ে দূতাবাস ও হাইকমিশনের একশ্রেণীর কর্মকর্তা -কর্মচারী প্রবাসীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমআরপি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, বিদেশে দূতাবাস ও হাইকমিশনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের কোন প্রকার সহযোগিতা দিচ্ছে না। কারণ এমআরপি প্রকল্পের মাধ্যমে পাসপোর্ট দেয়া হলে হাইকমিশন ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন লাভ হয় না। তাই তারা সহযোগিতাও দিচ্ছে না। এমন অভিযোগ অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেছেন, এমআরপি দেয়ার বিষয়ে দূতাবাস ও হাইকমিশনের কতিপয় কর্মকর্তা বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কারণ একজন কর্মী তার কাজ বাদ দিয়ে বার বার দূতাবাসে আসতে চান না। তাই কর্মীরা টাকা দিয়েই এমআরপি নিচ্ছেন। তাছাড়া অনেক কর্মী দূতাবাস বা হাইকমিশন থেকে অনেকদূরের শহরে কাজ করেন, তারা এমআরপির জন্য প্রতিদিন দূতাবাসে ঘুরতেও চান না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি দেশেও সর্বোচ্চ মহলও জানে। কিন্তু জেনেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একটাই কথাÑ আগে এমআরপি হোক। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যথাসময়ের মধ্যেই এমআরপি প্রবাসীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। আইকাওয়ের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই এমআরপি দেয়ার চেষ্টা চলছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ বছরের ১৪ জানুয়ারি কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার কামরুল আহসান বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ট্রিলে আইকাও প্রেসিডেন্ট ওলুমইয়া ব্রান্ড অলিউরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকে চলতি বছরের ২৪ নবেম্বরের আগে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়ার বিষয়ে সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। তিনি এমআরপি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার সময়সীমা এ বছরের ২৪ নবেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ২৪ নবেম্বর করার অনুরোধ জানান। হাইকমিশনারের এই অনুরোধ আইকাও প্রেসিডেন্ট নাকচ করে দিয়েছেন। আইকাও প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেন, আইকাওয়ের কোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলে আইকাও কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামত প্রয়োজন। কিন্ত আইকাও আগামী গ্রীষ্মকালীন কাউন্সিল অধিবেশনের আলোচ্যসূচীতে এ ধরনের কোন এজেন্ডা ছিল না। এ জন্য চলতি বছরের ২৪ নবেম্ববরের মধ্যে হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করা যাবে। এরপর আর হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, এমআরপির সমস্যা এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের কর্মী রয়েছে সেখানেই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। মালয়েশিয়াতে আমরা এ বিষয়ে সফল হয়েছি অনেক কষ্ট করে। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের কর্মী সংখ্যা অনেক বেশি। এদের এমআরপি যথাসময়ে দিতে না পারলে কর্মীরা চরম বিপদে পড়বেন। তাই বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাসপোর্ট অধিদফতর ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করা হযেছে। বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে। জটিলতা নিরসন করে আমরা এমআরপি যথাসময়ে প্রবাসীদের হাতে তুলে দিতে পারব। সরকারের সিদ্ধান্তে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। আউট সোর্সিংয়ের জন্য যে প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে তাদের লোকবল ও মেশিনারিজ যথেষ্ট পরিমাণে নেই। বিপুল সংখ্যক মানুষকে এমআরপি দিতে হলে অবশ্যই লোকবল বাড়াতে হবে। বেশ কয়েকটি দূতাবাস ও হাইকমিশনে বাড়তি লোকবল পাঠানো হয়েছে। যদিও এমআরপি দেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। কিন্তু এখানে যেহেতু দূতাবাস ও হাইকমিশন জড়িত রয়েছে, তাই বিষয়টির দায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপরও এসে পড়ে। সেই দায় থেকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমরা এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। যেভাবেই হোক এমআরপি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেয়া হবে। এদিকে অনেক দেশ থেকে প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত টেলিফোনে অভিযোগ করছেন, তাদের কাছ থেকে এমআরপি ফি’র বাইরে ১০ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। এই টাকা না দিলে এমআরপি পাওয়া যাচ্ছে না। দূতাবাস বা হাইকমিশনের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। এতে বিদেশে অবস্থিত ৮৫ থেকে ৯০ লাখ প্রবাসীর কাছ থেকে এমআরপি বাবদ কয়েক শ’ কোটি টাকা তারা হাতিয়ে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বলা হয়, কোন দূতাবাস ও হাইকমিশনের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অন্যদিকে, ভারতীয় ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ছাড়া কোনভাবেই মিলবে না। সম্প্রতি ভারতীয় ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিমানচলন নীতিমালা অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে হাতে লেখা কোন পাসপোর্ট ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই সমগ্র বাংলাদেশ, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া পরিচালিত ‘ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্রে’ শুধু মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রহণ করা হবে।
×