ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চিটাগাং সিমেন্ট কেলেঙ্কারি মামলা ॥ মঙ্গলবার জবানবন্দী গ্রহণ

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৩১ আগস্ট ২০১৫

চিটাগাং সিমেন্ট কেলেঙ্কারি মামলা ॥  মঙ্গলবার জবানবন্দী গ্রহণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ১৯৯৬ সালের চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার পরবর্তী জবানবন্দী গ্রহণ আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার সকালে মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় আরও সময় প্রয়োজন বলে (টাইম পিটিশন) আবেদন জানান বাদীপক্ষের (বিএসইসি) আইনজীবী রেজাউল করিম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) হুমায়ুন কবির এ মামলার জবানবন্দী গ্রহণের জন্য ১ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্টদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। রবিবার সকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যকে (সাক্ষী) জেরা করার কথা ছিল। কিন্তু এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীসহ কোন আসামিই আদালতে উপস্থিত হননি। অপরদিকে এ মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় আরও সময় চেয়ে আবেদন করায় বাদীপক্ষের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে গত ১৬ আগস্ট মামলার বাদী এম এ রশীদ খানকে জেরা করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আর ১৭ আগস্ট ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরীকে জেরা করা হয়। ওই দিনই এ মামলার প্রথম জেরা ও জবানবন্দী গ্রহণ শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ১৯৯৬ সালে চিটাগাং সিমেন্টের পরিচালক ছিলেন। ভারতীয় ও ইরানী বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে আসামিরা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে চিটাগাং সিমেন্টের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোন জবাব পাওয়া যায়নি। এর পর কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অঙ্কের শেয়ার হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রকিবুর রহমান ও এ এস শহিদুল হক বুলবুল পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি, সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স-১৯৬৯ এর ১৭ ধারা অনুসারে যা কারসাজি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। তিন মাস পর ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে। আর এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৯৯৭ সালের ৪ মে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলা করে বিএসইসি। মামলাটি পরবর্তীকালে বিচারের জন্য প্রথম অতিরিক্ত দায়রা আদালত ঢাকায় বদলি করা হয়। এই আদালতে থাকাকালীন মামলাটির বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়। পরবর্তীকালে মামলার আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ এলে বাদীপক্ষের সম্মতিতে নিম্ন আদালতের আদেশের ওপর স্থগিত আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এর পর বিএসইসির ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মামলাটি এই আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
×