ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেভিতোভা-সাফারোভা লড়াই নিউ হ্যাভেনে

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৩০ আগস্ট ২০১৫

কেভিতোভা-সাফারোভা লড়াই নিউ হ্যাভেনে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইউএস ওপেনের আগে চেক প্রজাতন্ত্রের টেনিস তারকাদের জন্য বড় একটি অনুপ্রেরণা যোগ হতে যাচ্ছে। কানেক্টিকাটে নিউ হ্যাভেন ওপেনে কোন চেক তরুণীর হাতেই এবার শিরোপা উঠছে। কারণ ফাইনালে উঠেছেন দুই চেক তারকা পেত্রা কেভিতোভা ও লুসি সাফারোভা। এবার নিয়ে টানা চতুর্থবার কানেক্টিকাটের এ আসরে ফাইনালে উঠলেন কেভিতোভা। গত আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবার দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে টুর্নামেন্টে আসা এ চেক তরুণী। তার প্রতিপক্ষ সাফারোভা আসরের চতুর্থ বাছাই। এবারই প্রথম নিউ হ্যাভেনের ফাইনালে উঠেছেন তিনি। গত আসরে হারানো ট্রফিটা পুনরুদ্ধার করেছিলেন কেভিতোভা। ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন এ চেক তরুণী পরের বছর হেরে গিয়েছিলেন রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপের কাছে। কিন্তু গত বছর সেই হারানো শিরোপা আবার পুনরুদ্ধার করেছিলেন তিনি। কানেক্টিকাট ওপেন তাই যেন কেভিতোভার জন্য বেশ পয়মন্ত টুর্নামেন্ট। ২০১১ সালের ফাইনালে ডেনমার্কের তারকা ক্যারোলিস ওজনিয়াকির কাছে হেরে নিউ হ্যাভেনের ফাইনাল খেলা শুরু করেছিলেন। এবার সেমিফাইনালে সেই ওজনিয়াকিকে বিদায় করেই উঠলেন ফাইনালে। তৃতীয় বাছাই ওজনিয়াকিকে সরাসরি দুই সেটের লড়াইয়ে ৭-৫, ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি। তবে সেমিতে দু’জনেরই ছিল ইনজুরি সমস্যা। কেভিতোভা মনোনিউক্লিওসিসে ভুগেছেন এবং ওজনিয়াকি পা ও পিঠের সমস্যায় ভুগেছেন। তবে প্রথম সেটে দারুণ খেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন ওজনিয়াকি ৫-৩ ব্যবধানে। এরপরই ঘুরে দাঁড়ান কেভিতোভা। টানা তিন গেম জিতে ৬-৫ ব্যবধানে লিড নেন। শেষ পর্যন্ত আরেকটি গেম জিতে ঠিকই প্রথম সেট নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেন এ চেক তারকা। প্রথম সেটে জোর লড়াই যে হয়েছে সেটার আরও প্রমাণ আছে। ১২ গেমের এ সেটে ১৯ বার ডিউস হয়েছে দু’জনের মধ্যে। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি ওজনিয়াকিকে। শুরুটা ১-১ সমতায় হলেও ৬-১ ব্যবধানে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। জয়ের পর কেভিতোভা বলেন, ‘আমাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। কারণ ৫-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলাম। আমরা যত গেম খেলেছি সবই খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল, কয়েক পয়েন্টের জন্য এদিক-সেদিকও যেতে পারত। প্রথম সেট জিতে যাওয়ার পর আমি দারুণ খুশি হয়েছিলাম। এক ঘণ্টার বেশি সময় আমরা খেলেছি সেটা খুব ভাল হয়েছে।’ সাফারোভাকে অবশ্য বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে ইউক্রেনের লেসিয়া টুরেঙ্কোর বিরুদ্ধে জয় তুলে নিতে। তবে সরাসরি ৬-২, ৭-৬ (৭-৪) সেটেই তাকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখেন সাফারোভা। এবার ফাইনালে স্বদেশী কেভিতোভার মুখোমুখি হবেন তিনি। এর আগে দু’জন ৬ বার মুখোমুখি হয়েছেন। একবারও জিততে পারেননি সাফারোভা। এবার ফাইনালে মোক্ষম সুযোগ তার জন্য স্বদেশী কেভিতোভাকে প্রথমবার হারানো এবং নিউ হ্যাভেনের শিরোপা জেতার। গত বছর উইম্বলডনে সর্বশেষ দু’জন মুখোমুখি হয়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে ফেড কাপে একসঙ্গে অনুশীলন করেছেন এবং জুটি বেঁধে খেলেছেন। সাফারোভার বিষয়ে কেভিতোভা বলেন, ‘আমি তার খেলার ধরন সম্পর্কে কিছুটা জানি। কিন্তু একই সঙ্গে সেও আমার ব্যাপারে অনেক কিছুই জানে। আমি জানি না তবে সম্ভবত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি কিছুটা বেশিই শক্তিশালী খেলোয়াড় হয়ে উঠি।’ অর্থাৎ সাফারোভাকে প্রচ্ছন্ন একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েই রাখলেন কেভিতোভা। সেই চ্যালেঞ্জটা কিভাবে গ্রহণ করেন সাফারোভা সেটাই এখন এ দুই চেকের লড়াইয়ে বোঝা যাবে।
×