ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঐক্যবদ্ধ থাকায় বার কাউন্সিলে এবার জিতেছি ॥ আশরাফ

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৩০ আগস্ট ২০১৫

ঐক্যবদ্ধ থাকায় বার কাউন্সিলে এবার জিতেছি ॥ আশরাফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। এবার সব আওয়ামী আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলের বলেই দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকায় গত দুই দফা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে হেরে গেছি। কিন্তু এবার নিরঙ্কুশ জয় হয়েছে। শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগ এ সভার আয়োজন করে। সৈয়দ আশরাফ তাঁর বক্তৃতা শুরুতেই শোক মাসে দলীয় কর্মসূচীর কথা তুলে ধরে বলেন, জাতির জনকের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। সারাদেশে মানুষ বিভিন্নভাবে পালন করেছে। রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। কেউ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের মহানায়ক, কেউ বলেছেন তাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টিই হতো না। মিডিয়া কর্মীদের উদ্দেশে সৈয়দ আশরাফ বলেন, প্রতিদিনই বক্তৃতা দিচ্ছি। সকালে সুপ্রীমকোর্ট বার আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম। চিৎকার করে বক্তৃতা করলে মাসে একদিন করতে পারব। সে দিক বিবেচনা রেখে আজকে আর কথা বলব না। আপনাদের কাছে ছুটি চাচ্ছি। আগামীকাল থেকে নিউজ দেব। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেন, জাতির জনক দেশকে যখন একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন, তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিন পালন করছেন। মিথ্যা জন্মদিন পালন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। তিনি দেশবাসীকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। সংগঠনের সভাপতি রওশন জাহান সাথীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের শুক্কুর মাহমুদ, সিরাজুল ইসলাম, ফজলুল হক মন্টু, সংগঠনের সুরাইয়া আক্তার, সামছুন্নাহার ভুইয়া প্রমুখ। দলের নেতাদের আত্মঘাতী বক্তব্যের সমালোচনা সেতুমন্ত্রী কাদেরের ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মধ্য থেকে বিরোধিতার সমালোচনা করে বলেছেন, আমরা একেক জন একেক ধরনের কথা বলছি, তার কারণে এ ধরনের সমস্যাটা হচ্ছে। আমি এটাকে বলব, আত্মঘাতী আচরণ। এই আচরণ আমাদের দুর্বল করে। এই আচরণে অন্যরা সুযোগ নেবে। সরকারের সবার একই ভয়েসে (ভাষায়) কথা বলা উচিত। শনিবার রাজধানীর বিএমএ অডিটরিয়ামে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে এই মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ‘আত্মঘাতী’ আচরণ না করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন যেন ম্লান না হয়ে যায়, সেজন্য আমাদের এ আত্মঘাতী আচরণ পরিহার করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব যদি জনগণের জন্য ‘টলারেন্স’ (সহনীয়) না হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতে পারেন। ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছিল। ফলে আপাতকালীনভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কখনই জনগণের স্বার্থে বিঘœ ঘটে এমন পদক্ষেপ নেননি। পরবর্তীতে সব ঠিক হয়ে গেলে তিনি এই বিবেচনা করবেন। গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পরিবহনেও পড়বে। আমরা বিআরটিএ’কে বলব, স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে এ মূল্য বৃদ্ধি যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে। বিলবোর্ডে নেতাদের আত্মপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের হতচকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আমি আমাকে প্রচার করব, সেই জন্য বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রকাশ করছি। বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রকাশ করার দরকার নেই। বঙ্গবন্ধু নিজের কাজ, নীতি ও আদর্শ দিয়ে মহাকালের কলমে তাঁর নাম মহাফলকে লিখে গেছেন। সেই নাম নতুন করে কারও লেখার প্রয়োজন নেই। নিজেকে প্রকাশ করতে গিয়ে যেন কেউ বঙ্গবন্ধুকে ছোট না করি সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আসার পথে ৫১ জনের ছবি দেখেছি বঙ্গবন্ধুর পাশে। কেন এই ছবি? আপনারা পাশে না থাকলে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা খাটো হয়ে যাবে? আসলে এসবের লক্ষ্যই হচ্ছে আপনাদের আত্মপ্রকাশ। অনেকে আবার বঙ্গববন্ধুর পাশে ছবি দিয়ে হাতপাতে দু-চার টাকা কামাতে চায়। এ থেকে বিরত থাকুন।
×