ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদ আনন্দ ॥ বিপুল রাজস্ব আয়

কক্সবাজারে পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীর ঢল

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ২৪ জুলাই ২০১৫

কক্সবাজারে পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীর ঢল

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সকাল থেকে দিনভর বৃষ্টি উপেক্ষা করে নানা বয়সের পর্যটক-দর্শনার্থীর পদভারে মুখরিত চকরিয়া ডুলাহাজারায় দেশে প্রথম স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক। ঈদ-উল-ফিতরের দিন থেকে গত ছয়দিনে ওই পার্কে গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে পার্কের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আরও কয়েকদিন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হবে, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকলে শুক্র ও শনিবার সরকারী ছুটির দিনে পার্কে প্রচুর পর্যটক-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটতে পারে। এতে করে পার্কের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি বলেন, পার্কে পর্যটক-দর্শনার্থীর মধ্যে বিনোদন নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে পার্ককে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে শত প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় দেশী-বিদেশী জীববৈচিত্র্য। সাফারি পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরুল হুদা বলেন, পার্কে ভ্রমণে এসে পর্যটক-দর্শনার্থীরা উপভোগ করছেন বিলুপ্তপ্রায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির জীববৈচিত্র্য। তার মধ্যে রয়েছে বাঘ, সিংহ, ভালুক, ওয়ালবিষ্ট, গয়াল, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, হাতি, মিঠাপানির কুমির, নোনা পানির কুমির, হনুমান, বানর, অজগর সাপ, ময়ূর ও হরেক প্রজাতির পাখি। তিনি বলেন, পার্কের দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট, বেষ্টনীর ভেতর বিচরণরত বন্যপ্রাণীগুলো দর্শনার্থীরা হেঁটে কিংবা পার্কের পরিবহনে করে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। সুউচ্চ অণুবীক্ষণ টাওয়ারে উঠে পুরো পার্কের মনোরম দৃশ্য দেখছে ভ্রমণপিপাসুরা। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ছাড়াও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদভারে মুখরিত জেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো। তন্মধ্যে কক্সবাজারে একমাত্র পাথুরে বিচ ইনানী সৈকত, হিমছড়ির অপরূপ ঝর্ণা, দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ইনানী রোডে দর্শনীয় স্পট পেঁচারদ্বীপ, দরিয়ানগর, রামুর নবনির্মিত বৌদ্ধবিহার, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন ছুটে চলছে হাজার হাজার পর্যটক। ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত অবধি বার্মিজ মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে ভিড় করছে দেশ-বিদেশের পর্যটকগণ। বার্মিজ পণ্যের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের পণ্যাদি এবং শুঁটকি ও মহেশখালীর বিখ্যাত মিষ্টি পান কিনছে পর্যটকরা। দর্শনার্থীর অনেকে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জানুয়ারি থেকে তিনমাস ধরে অহেতুক অবরোধ-হরতাল দিয়ে পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের কক্সবাজারে ভ্রমণে আসতে বাধাগ্রস্ত করেছে। এতে বহু ক্ষতি সাধন হয়েছে কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যের। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় নির্দ্বিধায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামু রামকুট ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মনের আনন্দে এখন ঘুরে বেড়ানো যাচ্ছে বলে তারা সরকারের ওপর অত্যন্ত খুশি।
×