স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে বাসায় ফিরছিলেন নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। পথে তিন দুর্বৃত্তের পাল্লায় পড়ে সভ্রম হারান তিনি। একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে আটকে রেখে তিন দুর্বৃত্ত তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। রাজধানীর লালবাগ সোয়ারীঘাট এলাকায় এমনই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ষোড়শী এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায় মেয়েটি নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বরিশালে। গাবতলী এলাকায় একটি মেসে থেকে তিনি পাশের একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন।
অপরদিকে তার প্রেমিক সুজন মিয়ার বাসা লালবাগ সোয়ারীঘাট এলাকায়। তাদের সম্পর্ক দীর্ঘ চার বছরের। মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণী তার সঙ্গে সুজনের বন্ধুর বাসায় আসেন। এখানে তারা দিনভর অবস্থান করেন। মেয়েটি বাসায় ফিরে যেতে চাইলে সুজন তাকে নিয়ে আনুমানিক রাত ১২টার দিকে বন্ধুর বাসা থেকে গাবতলীর উদ্দেশে রওনা হন। সুজন তাকে এগিয়ে দেয়ার জন্য সোয়ারীঘাট লোহার ব্রিজ এলাকায় আসেন। এ সময় তাকে রাস্তায় রেখে একটি দোকানে পানি পান করতে যান সুজন। ওই ফাঁকে তিন যুবক তাকে জোর করে পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায়।
সুজন দাবি করে-পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়িতে তরুণীকে আটকে রেখে তিন দুর্বৃত্ত উপর্যুপরি পাশবিক নির্যাতন চালায় তার ওপর।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষণের অভিযোগের কারণে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে সর্বশেষ এ ঘটনায় মেয়েটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সৈকত ইসলাম রানা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, এই কিশোরী মঙ্গলবার সকালে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সোয়ারীঘাট এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে প্রেমিকের এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সেই বাসা থেকে বেরিয়ে সোয়ারীঘাটের লোহারপুল এলাকায় তার প্রেমিক পানি পান করার কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। এই সময় গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী সৈকত ইসলাম রানা ও তার দুই বন্ধু পাশের এক বাসায় নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিত কিশোরী ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে লোহারপুলে এলে তার প্রেমিকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রেমিককে ধর্ষণের ঘটনা জানানোর পর টহল পুলিশের সহায়তার ওই কিশোরী লালবাগ থানায় যান।
উপকমিশনার মুনতাসিরুল বলেন, “মেয়েটি লালবাগ থানায় একটি মামলা করবে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। মেয়েটির অভিভাবকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে পুলিশ। ধর্ষণে জড়িত আর দুজনকেও পুলিশ খুঁজছে।
সোনা উদ্ধার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪৩৩ গ্রাম স্বর্ণসহ একজনকে আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সহকারী কমিশনার মোঃ আল-আমিন জানান, সৌদি আরবের দাম্মাম থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি ০৫০ যোগে জিয়াউদ্দীন নামের এক যাত্রী শাহজালালে আসেন। গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তল্লাশি করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা লাগেজের ভেতর চাবির লকের ভেতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো থাকা ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ ॥ রাজধানীর কলাবাগানে সারাবান তাহুরা তুহিন (২৬) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কলাবাগান থানার উত্তর ধানম-ির ১৪/৭ নম্বর বাসা থেকে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত তাহুরা তুহিন দিনাজপুর সদরের কলেজপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুস আজাদের মেয়ে। বর্তমানে তিনি স্বামী আবুল হোসেন সর্দারের সঙ্গে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক শামিম আহম্মেদ জানান, আট বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। সারাবান তাহুরা তুহিনের আগে থেকেই মানসিক সমস্যা ছিল। পারিবারিক কোলহের জের ধরে তিনি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: