ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রে বখাটেদের উৎপাত ॥ হয়রানির শিকার নারী

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২২ জুলাই ২০১৫

রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রে বখাটেদের উৎপাত ॥ হয়রানির শিকার নারী

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ জেলায় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বখাটেদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দে ঘুরতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন মানুষ। বিশেষ করে নগরীর পাশ ঘেঁষে পদ্মা নদীর বিশাল পাড় সম্প্রতি বেড়েছে বখাটেদের উৎপাত। সেখানেই ইভটিজিং থেকে শুরু করে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে নারীদের। এতে চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে বিনোদন এলাকায় বেড়াতে আসা মানুষ। পদ্মা পাড় ছাড়াও নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা, রাজশাহী শিশুপার্ক, ভদ্রা পার্কে এ ধরনের ঘটনা এখন ঘটছে সবচেয়ে বেশি। সামাজিক অবস্থান ও মানসম্মানের ভয়ে নাজেহাল হলেও অনেকে এ বিষয়ে মুখ খুলছে না। অনেকে নীরবে মেনে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসছে। ঈদের পর থেকে বিনোদ কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উঠতি বষয়ের মস্তানরাও। ভুক্তভোগীরা জানান, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখন উপচেপড়া ভিড়। সেই সঙ্গে বেপারোয় মস্তানরাও। একদিনে উঠতি মস্তানদের বেপরোয়া যৌন হয়রানি অন্যদিকে এসব বিনোদন কেন্দ্রের ‘টোকায়’ ব্যবসায়ীরাও নানা ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র বড়কুঠি পদ্মা পাড়ে এক নারীকে কোপানোর চেষ্টা চালায় স্থানীয় এক ‘টোকায়’ ব্যবসায়ী। পদ্মা পাড়ে বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে আসা এক নারী মোবাইল ফোনে ছবি তোলার সময় এক চটপটি দোকানের মালিক রিপন এসে তাকে প্রথমে বসতে বলে। তিনি বসতে অস্বীকার করলে তাকে বের হয়ে যেতে বলে। ওই নারী জানান, বাচ্চাদের নিয়ে তিনি ছবি তুলছিলেন। এমন সময় চটপটির দোকানের মালিক এসে তাদের বসতে বলে। বসতে না চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি। পরে হাসুয়া নিয়ে ধেয়ে আসে কোপানোর জন্য। স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় তিনি বেঁচে যায়। প্রতিনিয়ত বেড়াতে আসা এমন অনেকেই জানান, আসন দিয়ে বসতে বলে অযথা টাকা আদায় করার কাহিনী এখানে প্রতিনিয়তই চলে। ফুচকা বিক্রেতারা বেপরোয়াভাবে দর্শনার্থীদের হয়রানি করে থাকে। তাদের কথামতো, ফুচকা দোকানের সামনে বসলে হয় কিছু খেতে হবে নয়ত বসার ভাড়া দেয়া লাগবে। এছাড়া এসব বিনোদন কেন্দ্র এখন গড়ে উঠেছে মাদকাসক্ত, চোর-বাটপার আর মাতালদের আখড়ায়। প্রতিনিয়ত তাদের হাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে বেড়াতে আসা মানুষকে। বিশেষ করে নারীরা পড়ছেন সবচেয়ে বিড়ম্বনায়।
×