ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২২ জুলাই ২০১৫

কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে ব্যবস্থা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকগুলো যাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষিঋণ বিতরণ করে সেজন্য এ সংক্রান্ত নিয়মে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে কিছু ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ বিতরণে প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায় আগের নির্দেশনায় সংশোধন আনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে। চলতি অর্থবছর থেকে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে। সার্কুলারে বলা হয়, বেসরকারী ও বিদেশী কোন ব্যাংক অর্থবছর শেষে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে অনার্জিত অংশের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক জমা রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা এ অর্থের ওপর কোন সুদ দেয়া হবে না। এ বিষয়ে আগের নির্দেশনায় বাধ্যতামূলক জমা রাখার নিয়ম থাকলেও ৫ শতাংশ হারে সুদ দেয়া হতো। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার অনার্জিত অংশের সমপরিমাণ অর্থ পরবর্তী অর্থবছরের সম্পূর্ণ বা আংশিক বিতরণ করতে পারলে সম্পূর্ণ বা আনুপাতিক হারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে তা ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক এক বছরের জন্য অনার্জিত অংশ জমা রেখে দিত। বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকগুলোকে আগের অর্থবছরের ৩১ মার্চ তারিখের মোট ঋণ ও অগ্রিমের কমপক্ষে আড়াই শতাংশ কৃষি ও পল্লীঋণ হিসেবে বিতরণের নির্দেশনা আগে থেকেই আছে। কোন ব্যাংক যদি এই নিয়ম পালন করত তাহলে লক্ষ্যমাত্রার অনার্জিত অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক জমা রাখার শর্ত থেকে ছাড় পেত। নতুন নির্দেশনায় ওই ছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছে। সার্কুলারে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ব্যাংক মাসিক ভিত্তিতে আনুপাতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি শাখা, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবে। কোন ত্রৈমাসিকে আনুপাতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে অনার্জিত অংশ পরবর্তী ত্রৈমাসিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করতে পারে। তবে বাধ্যতামূলক জমা রাখতে হবে অর্থবছর শেষে।
×