ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চীনের প্রতি জাপানের আহ্বান

পূর্ব চীন সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ করুন

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২২ জুলাই ২০১৫

পূর্ব চীন সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ করুন

জাপান মঙ্গলবার পূর্ব চীন-সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানী প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ বন্ধের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সাগরের ওই অংশ উভয় দেশের মালিকানা দাবি করা জলসীমার সন্নিকটে। জাপান এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে, চীনের অনুসন্ধানী ড্রিলিং জাপানী আঞ্চলিক সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত গ্যাসসম্পদ থেকে গ্যাস তুলে নিতে পারে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বার্ষিক প্রতিরক্ষা পর্যালোচনার দাবির বিষয়টি যোগ করেছে। এর আগে ক্ষমতাসীন দলের কট্টর সদস্যরা অভিযোগ করেন যে, মূল খসড়ায় চীনের প্রতি বেশি নমনীয়তা দেখানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ কথা বলেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন দু’বছর আগে পূর্ব চীন সাগরে অনুসন্ধান কাজ শুরু করে। ২০১২তে জাপান সরকার সেখানে একটি বিরোধপূর্ব দ্বীপপুঞ্জ ক্রয় করলে বেজিং ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতোপূর্বে বেজিং বিরোধীয় এলাকায় যৌথভাবে সাগরতলের সম্পদ উন্নয়নের জন্য জাপানের সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় তৎপরতা সীমিত করে দেয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পেরেছি চীন সাগরে অনুসন্ধান চালানোর নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ শুরু করেছে এবং আমরা চীনের একতরফা উন্নয়নের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করছি এবং তা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। খবর ইয়াহু নিউজের। জাপানী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, প্ল্যাটফর্মগুলো দুই দেশের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল নিদের্শক মধ্যরেখার চীনা অংশে অবস্থিত। টোকিও উদ্যোগ প্রকাশ করেছে যে, প্ল্যাটফর্মগুলো গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস তুলে নিতে পারবে। গ্যাস ক্ষেত্রগুলো দুই দেশের মধ্য রেখাকে আবৃত (ওভারল্যাপ) করেছে। ওইসব প্ল্যাটফর্মকে বিরোধপূর্ণ দ্বীপমালার কাছাকাছি আকাশ ও সাগরপথের তৎপরতার ওপর নজর রাখার জন্য রাডার স্টেশন অথবা ড্রোন কিংবা অন্য ধরনের বিমানের ঘাঁটিরূপেও ব্যবহার করা যাবে। জাপানে ওই দ্বীপপুঞ্জ সেনকাকু এবং চীনে দিয়াউ নামে পরিচিত। চীনের প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাপানী রিপোর্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। রিপোর্টে চীন সমুদ্র থেকেও দূরবর্তী যেসব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে তাদের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
×