ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাশরাফির ২০০ উইকেট শিকার

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১৬ জুলাই ২০১৫

মাশরাফির ২০০ উইকেট শিকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাকিব আল হাসানের পর মাশরাফি বিন মর্তুজাও ২০০ উইকেট শিকার করে ফেললেন। বৃষ্টির পর যখন দক্ষিণ আফ্রিকা দুর্দান্ত খেলতে শুরু করে, এমন সময় ডেভিড মিলারের উইকেটটি নিয়েই ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২০৭ উইকেট নেয়া আব্দুর রাজ্জাকের পর সাকিবই ২০০ উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাশরাফির আগে সাকিব এ মাইলফলক স্পর্শ করেন। এরপর মাশরাফিও একই কীর্তি গড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামের ওয়ানডেতে খেলতে নামার আগে ১৫৬ ওয়ানডে খেলে মাশরাফি। উইকেট নিয়েছিলেন ১৯৯। দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে ২০০ উইকেটের মালিক হওয়ার সুযোগ ছিল মাশরাফিরই আগে। ১ উইকেট নিলেই হয়ে যেত। সাকিবের সামনেও ছিল সেই সুযোগ। তবে ২ উইকেট নিতে হতো। দেখা গেল সাকিবই প্রথমে সেই সুযোগটি কাজে লাগালেন। এরপর মাশরাফিও কী পেছনে থাকবেন? তিনিও ২০০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা দেখিয়ে দিলেন। মাশরাফি চলতি সিরিজে দুই ম্যাচে একটি করে দুটি উইকেট নিয়েছিলেন। তার সংগ্রহে ছিল ১৫৬ ম্যাচে ১৯৯ উইকেট। আর একটি উইকেট প্রয়োজন তার। তাহলেই দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ২০০ উইকেটের মালিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সাকিব-মাশরাফি ও রাজ্জাক, এ তিনজন ছাড়া এক শ’ উইকেট শিকারির তালিকায় আর একজন বাংলাদেশী আছেন। ১২৩ ম্যাচে সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক ১১৯ উইকেট শিকার করেছিলেন। এখন মাশরাফি ২০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করলেন। ২০০১ সালের নবেম্বরে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় মাশরাফির। প্রথম ম্যাচে নেন ২ উইকেট। এরপর থেকেই শুরু হয় মাশরাফির পথ চলা। অবশ্য বার বারই মাশরাফির এ পথ চলা বাধাগ্রস্ত হয়। ইনজুরি সমস্যায় পড়তে হয়। ২০০১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে খেলে যাচ্ছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত ডানহাতি পেসার মাশরাফি। বর্তমান সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে ক্যারিয়ারের এই ১৪ বছরে মাশরাফিকে অনেক চড়াই উতরাই পার হতে হয়েছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি ইনজুরি প্রবণ খেলোয়াড়। যার ফলে বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে দেখা যায় না তাকে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন তিনি। ১৪ বছরে মাশরাফির মোট সার্জারি করাতে হয়েছে ১০ বার। বাংলাদেশ দলের বর্তমান সময়ে এই সফল অধিনায়কের ডান হাঁটুতে তিনবার, বাঁ হাঁটুতে চারবার ও পায়ের গোড়ালিতে তিনবার সার্জারি করাতে হয়েছে। এরপরও মাশরাফি এগিয়েই চলেছেন। উইকেট পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে দলকেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাফল্যও পেয়ে চলেছেন। বুধবার যেমন ২০০ উইকেটও শিকার করে ফেললেন।
×