ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নয়া মিশনে সাফল্যের প্রত্যয় পার্সির

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৬ জুলাই ২০১৫

নয়া মিশনে সাফল্যের প্রত্যয় পার্সির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নয়া মিশনে সাফল্যের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে রবিন ভ্যান পার্সি। হল্যান্ডের তারকা এই ফুটবলার সদ্যই নাম লিখিয়েছেন তুরস্কের ক্লাব ফ্যানারবাকে। মঙ্গলবার তুর্কী ক্লাবটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকও চুক্তিও করেছেন ৩১ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। ইস্তান্বুলে পার্সিকে বরণ করে নিতে হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা নতুন ক্লাবকে সাফল্যে ভাসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো পরাশক্তি ক্লাবে খেলেছেন ভ্যান পার্সি। এবার আচমকা তিনি অনেকটা অখ্যাত তুর্কী লীগে নাম লেখালেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হয়ত তিনি হারিয়ে যাবেন তুর্কী সুপার লীগে খেলার কারণে। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না ডাচ্ তারকা। নতুন ক্লাবের ভালবাসায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। সাক্ষাতকারে পার্সি বলেন, আমি এখন ফ্যানারবাক পরিবারের সদস্য। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমার সেরাটা দিয়ে ফ্যানারবাককে সর্বোচ্চ সাফল্য উপহার দিতে। যত সম্ভব শিরোপা জয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব। এখানে আসতে পেরে আমি দারুণ খুশি। ভক্তদের ভালবাসায় রীতিমতো মুগ্ধ পার্সি। তাকে বরণ করে নিতে স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল প্রায় ১৮ হাজার দর্শক। এ প্রসঙ্গে সাবেক গানার্স তারকা বলেন, ভক্তদের উচ্ছ্বাস দেখে আমি অবাক হয়েছি। তারা আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছে তার প্রতিদান দিতে চাই। আমি চাই ফ্যানারবাকে বড় সাফল্য উপহার দিতে। মূলত লুইস ভ্যান গাল কোচ হয়ে আসার পরই ম্যানইউতে ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ভ্যান পার্সির। আসছে নতুন মৌসুমে কোচের পরিকল্পনাতেও ছিলেন না তিনি। যে কারণে ওল্ডট্রাফোর্ড না ছেড়ে উপায় ছিল না ডাচ্ তারকার। অনেকটা নিরুপায় হয়েই ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, তিন বছরের জন্য তুর্কী ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পার্সি। এ জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি সপ্তাহে পাবেন ২ লাখ ৪০ হাজার ইউরো। তুরস্কে পৌঁছানোর পর ফ্যানারবাকের সমর্থকরা পার্সিকে ফুলের দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের জানিয়ে দিয়েছেন তারকা এই ফরোয়ার্ড। গত মৌসুমে ম্যানইউর হয়ে ভাল পারফর্ম করতে না পারায় কয়েক মাস ধরেই নতুন ঠিকানার সন্ধানে ছিলেন তিনি। অথচ আর্সেনাল ছেড়ে ২০১২ সালে ম্যানইউতে নাম লেখানোর পর শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল পার্সির। দ্বিতীয়বারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চা গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন বুট’ জিতে নিয়েছিলেন অসাধারণ পারফর্মেন্স প্রদর্শন করে। ২০১১-১২ মৌসুমের পর প্রিমিয়ার লীগের ২০১২-১৩ মৌসুমেরও সেরা গোলদাতা হান ডাচ্ তারকা। ২০১১-১২ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ৩৮ ম্যাচে ২৬ গোল করেন ভ্যান পার্সি। পরের মৌসুমে দুটি হ্যাটট্রিকসহ ২৬ গোল করেন সাবেক গানার্স তারকা। ভ্যান পার্সির হ্যাটট্রিকের সুবাদে ৩-০ গোলে এ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে চার ম্যাচ হাতে রেখে ২০তম লীগ শিরোপা নিশ্চিত করেছিল ম্যানইউ। ওই ম্যাচে তার দুর্দান্ত ভলি থেকে করা গোলটি ম্যানইউর মৌসুমের সেরা গোলও নির্বাচিত হয়। সেই পার্সি আচমকাই হারিয়ে ফেলেন ছন্দ। আর্সেনালে টানা আট বছর খেলেছেন পার্সি। এরপর মায়াজাল ভেদ করে ২০১২ সালে পাড়ি জমান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এ নিয়ে কম সমালোচনা সইতে হয়নি ডাচ্ তারকাকে। ওল্ডট্রাফোর্ডে যোগ দেয়ার পর পার্সি দলের সেরা তারকায় পরিণত হন। ওয়েন রুনি, হার্নান্দেজদের পেছনে ফেলে পার্সিই হয়ে উঠেন দলের মূল ত্রাতা। প্রতি ম্যাচেই গোল পাওয়াটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতনে আকাশ থেকে পতন হয়েছে তার। যে কারণে ছাড়তে হলো পছন্দের ক্লাব। ম্যানইউ ছেড়ে আসার পর অনেকেই অনেক কথা বলছেন। তবে অতীত নিয়ে আর ভাবতে চান না পার্সি। নতুন মিশনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, এখানকার (ফ্যানারব্যাক) সবাই অনেক ভাল, বন্ধুভাবাপন্ন, আন্তরিক। আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছি। আশা করছি সাফল্য পাব।
×