স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস আজ। ২০০৭ সালের এদিন ভোরে সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ধানম-ির সুধা সদনের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে শেখ হাসিনার নামে একাধিক মামলা দেয়া হয়। গ্রেফতারের পর তাকে পুলিশের একটি জীপে করে ঢাকার সিএমএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতির মুখেও দলের নিবেদিত কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আদালত প্রাঙ্গণে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখতে সমবেত হন হাজারো কর্মী-সমর্থক।
আদালতে শেখ হাসিনার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয় এবং তাকে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে বিশেষ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত এলাকায় তাঁকে যথাযথ নিরাপত্তা না দেয়ায় তিনি নাজেহালেরও শিকার হন। ওই সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত কয়েকটি মামলায় বিশেষ জজ আদালতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ওই সব মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনা হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু কন্যার মুক্তির দাবিতে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত হলে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানান। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে কারাবন্দী শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ জুন আট সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সেখানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কান ও চোখের চিকিৎসা নেন তিনি। দেশে ফেরার পর আবার তাকে কারাগারে রাখা হয়। আটকের এক বছরেরও বেশি সময় পর স্থায়ীভাবে মুক্তি পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকে আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: