ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোকেন আটকের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা ॥ শক্তিশালী চক্র সক্রিয়

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৬ জুলাই ২০১৫

কোকেন আটকের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা ॥ শক্তিশালী চক্র সক্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন আনার ঘটনাটি ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। মাদকের চালান আমদানির বিষয়টি এখন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলেছে এমন তথ্য বেরিয়ে আসছে গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এ ধরনের পণ্য আনার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বরং এর আগে একাধিক চালান চট্টগ্রাম হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে তরল কোকেন আসার খবরটি পাওয়া যায় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্রে। এটি কৌশলে বের করে আনার চেষ্টাও ছিল। কিন্তু ঠিকভাবে সমন্বয় না হওয়ায় পরিকল্পনাটি ভেস্তে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরে চালানটি আটক হওয়ার পর পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা করেনি। শুধু তাই নয়, মামলার আগেই কোকেন শনাক্তের জন্য নমূনা প্রেরণ করা হয় ঢাকার একটি পরীক্ষাগারে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের নাম ব্যবহার করে এলসি ছাড়া চালানটি আনা হয় দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া থেকে। প্রতিষ্ঠানটি এ চালান আমদানির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। চালানটি আটকের পর প্রথমে গ্রেফতার করা হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেলকে। তবে তাকেও কারাগারে প্রেরণ করা হয় ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে। এতেও ধারণা করা হয় যে, পুলিশ বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। এ জন্য আদালত চট্টগ্রাম বন্দর থানার ওসিকে কারণ দর্শাতেও বলে। এ জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান বন্দর থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম। বিভিন্ন সূত্রে তথ্য মিলেছে যে, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম দফা নমুনা পরীক্ষার পর কোকেনের আলামত ধরা না পড়ায় দ্বিতীয় দফায় সব ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয় ঢাকায়। সেখানে কোকেনের আলামত মেলে। তবে এক্ষেত্রে ওই ফলাফলকে প্রভাবিত করতে একটি চক্র সক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সরকারেরই শক্তিশালী একটি গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয় থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
×