ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে প্রতারণার শিকার অর্ধশত ভর্তিচ্ছু

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৫ জুলাই ২০১৫

বরিশালে প্রতারণার শিকার অর্ধশত ভর্তিচ্ছু

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের দাখিল পাস অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের না জানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে স্কুল ও মাদ্রাসা থেকে ট্রান্সক্রিপ্টের (মার্কসিট) তথ্য নিয়ে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের এ প্রতারণার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভবিষ্যত নিয়ে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার নন এমপিওভুক্ত সাতলা আইডিয়াল কলেজের। প্রতারিত মেধাবী ছাত্রী মিতালী কীর্ত্তনীয়া, লিপিকা বাইন, ববিতা দাস, অশোক পাড়ুয়া, লাকী আক্তার, শাহিদা খানমসহ অন্যান্য শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাদ্রাসা সুপারের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সক্রিপ্টের তথ্য উত্তোলনের মাধ্যমে সাতলা আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আবেদন করে। পরবর্তীতে তাদের ওই কলেজে ভর্তি করতে বাধ্য করায় তারা পছন্দের ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারছে না। যে কারণে তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। এ বিষয়ে সাতলা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ কাজী হুমায়ুন কবির বলেন, এটা নন এমপিওভুক্ত কলেজ। এখানে আমরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে শিক্ষকতা করি। যা কিছু করা হয়েছে তা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মতামতের ভিত্তিতে ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এ পর্যন্ত ৪০ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রান্সক্রিপ্টের তথ্য পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের মধ্যে রাজাপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা এমএ সামাদ বলেন, তার মাদ্রাসা থেকে ২১ শিক্ষার্থী দাখিল পাস করেছে। তাদের মধ্যে ৩Ñ৪ জন ব্যতীত অন্যদের ট্রান্সক্রিপ্টের তথ্য সংগ্রহ করে সাতলা আইডিয়াল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে বলে আমি শুনেছি। তবে আমি এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নই। প্রায় একই কথা জানিয়েছেন, সাতলা দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাহমুদুর রহমান ও রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তার মিয়া। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অলি আহাদ বলেন, এমন অনিয়মের কথা শুনেছি। বরিশাল শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থী ব্যতীত ট্র্যান্সক্রিপ্টের তথ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×