ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্লাটারের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৪ জুলাই ২০১৫

ব্লাটারের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সেপ ব্ল্যাটার। এর পর থেকে আর কখনই পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কৌশলগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফিফায় এককভাবে রাজত্ব করছেন তিনি। তবে বর্তমান সময়টা ভাল যাচ্ছে না তার। একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন তিনি। তবে ফিফার সভাপতি ব্ল্যাটার মনে করেন অভিজ্ঞতা দিয়ে ফুটবলে সব সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরেই ফিফার হয়ে কাজ করছি আমি। তাই ফিফার সব ব্যাপারেই আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফুটবলীয় সমস্যা সমাধানের জন্য অভিজ্ঞতাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ফিফার সর্বশেষ নির্বাচনের দুর্নীতি নিয়ে নানারকম ঘটনায় পুরো ফুটবল দুনিয়াই হতবাক। একের পর এক থলের বিড়াল বের হচ্ছে আর ফিফার প্রতি প্রশ্নের তালিকাটাও ক্রমান্বয়ে দীর্ঘ হচ্ছে। এ নিয়ে ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের প্রতি অভিযোগের অসংখ্য তীর ছুটে আসছে। তিনি এরই মধ্যে পদত্যাগও করেছেন। তবে এ বছর শেষ হওয়ার আগে তাকে বাধ্য হয়েই ফিফা সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হবে। ফিফাতে যত দুর্নীতি সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলেন ব্ল্যাটার। তিনি দাবি করেছেন, ফিফার এসব দুর্নীতি তার অজান্তেই হয়েছে। এসবের কিছুই নাকি তার জানা ছিল না। সেই সঙ্গে ব্ল্যাটার তার ইউরোপিয়ান সহকর্মীদের সমালোচনাও করেছেন। তিনি বলেন, ইউরোপজুড়ে এখন কেবল একটাই আলোচনা। আর তা হলো ফিফার নির্বাচন। আমি অবশ্যই ফিফার নিরপেক্ষতা নিয়ে আবেদন করব। তবে আমি অবশ্যই ফিফার অন্যান্য সদস্যের দায়বদ্ধতার ভার নেব না। ফিফার সভাপতিকে অব্যশই অন্যদের সহযোগিতা নিয়েই কাজ করতে হয়। আর সেসব মানুষকে কনফেডারেশনই বরাদ্দ করে থাকে। তাই অন্যান্য সদস্যের আচরণের দায়-ভার আমি নিতে পারি না। এদিকে দুইদিন আগেই বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা’র সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা চাক ব্লেজারকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। কিছুদিন আগে ফিফার আমেরিকান সাবেক কর্মকর্তা চাক ব্লেজার নিজেই ঘুষ নেয়ার কথা স্বীকার করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১০ বিশ্বকাপের আয়োজকের দায়িত্ব দেয়ার জন্য তিনি ও ফিফার নির্বাহী কমিটির কয়েক সদস্য ঘুষ নিতে রাজি হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন মি. ব্লেজার। ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ বিশ্বকাপেও এমন ঘুষ নেবার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ৭০ বছর বয়সী ব্লেজার অবশ্য নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে দুর্নীতির নানা তথ্য-প্রমাণ দিয়েছিলেন।
×