স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ দিনভর লাশ নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে শনিবার মধ্যরাতে সীমান্তবর্তী একটি গ্রামের রাস্তা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশী রাখাল মুকুল হোসেনের লাশ। নিহত মুকুল হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। এর আগে শুক্রবার ভোরে ভারত থেকে গরু আনার পথে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় রাখাল মুকুল। সদর থানার ওসি এমদাদ শেখ কুশখালী সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার অভ্যন্তরের বাদিলকি এলাকার একটি রাস্তা থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান গোলাম মোরশেদের রাখাল হিসেবে কাজ করত মুকুল। লাশটি শনিবার দিনভর কুশখালী বিজিবি ক্যাম্পের পাশে লুকিয়ে রেখে গোপনে কবর দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই লাশ নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ দিনভর পুলিশকে গোপন করে নানা নাটকের জন্ম দেয় বলে পুলিশের অভিযোগ।
নিহত মুকুলের স্ত্রীর দাবি, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোরশেদের জন্য ভারত থেকে গরু আনত। শুক্রবার ভোরে গরু নিয়ে দেশে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে মুকুল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হলেও তার সঙ্গীরা মুকুলের লাশ দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। একপর্যায় কুশখালী বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শনিবার ভোরে কিছুক্ষণ রাখার পর আর লাশের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।