ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়েদের পছন্দ ভারতীয় পোশাক

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১২ জুলাই ২০১৫

মেয়েদের পছন্দ ভারতীয় পোশাক

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঈদ ঘনিয়ে আসায় জমে উঠেছে যশোরের ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকছে বিপণিবিতানগুলো। ক্রেতারা পোশাক কিনতে ছুটছেন এ মার্কেট থেকে সে মার্কেটে। এজন্য ফুটপাথ থেকে শহরের অভিজাত দোকানগুলোতে সমানভাবে ভিড় হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা আশানুরূপ বেচাকেনা করতে পারছেন। অন্যবারের মতো এবারও মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পোশাক। যশোরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উচ্চবিত্তের ক্রেতারা ছুটছেন শহরের মুজিব সড়ক এলাকায় অবস্থিত ভিআইপি মার্কেটে। কেউ কেউ যাচ্ছেন জেস টাওয়ার ও সিটি প্লাজাতেও। এ ছাড়া ছেলেরা কিনছে, ব্লু ডোর, ব্যাপারি, পোলো ও ক্যাজুয়াল শার্ট। যশোরের ফ্যাশন হাউস ফোঁড়-এর স্বত্বাধিকারি মামুনুর রশিদ জানান, ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি আর ফতুয়ার বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। যশোরে এবার ঈদেবাজারে ছেলেদের পোশাকে নতুন ক্রেজ তৈরি করেছে নরেন্দ্র মোদি পাঞ্জাবি ও কোটি। শার্টের সঙ্গে ব্যবহার উপযোগী এই কোটি বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ টাকা থেকে দুই হাজারের মধ্যে। অপরদিকে মেয়েদের পোশাকের বাজার দখল করে নিয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালের নায়িকারা যেসব পোশাক পরে অভিনয় করেছেন তার নামে নামকরণ করা পোশাক। ভারতীয় এ সব থ্রিপিসের দামও কম নয়। ভারতীয় থ্রি পিসের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে তৈরি থ্রিপিসও বিক্রি হচ্ছে। যশোর স্টিচ, ভরাট, নকশিকাঁথা স্টিস, এ্যাপলিক, শ্যাডো, মেসিন এ্যামব্রয়ডারিসহ বিভিন্ন ধরনের সেলাইয়ের কাজ করা থ্রিপিস কিনছেন মেয়েরা। এসবও বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান রং ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক মিন্টু মিয়া। এদিকে ঈদ উপলক্ষে ফুটপাথের দোকানগুলোও বেশ জমে উঠেছে। শহরের মুজিব সড়ক, এমকে রোড, মণিহারের সামনে, ইনস্টিটিউট মার্কেটে ঈদের পোশাক কিনতে মানুষের ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। ফুটপাথের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, এবার বেচাকেনা বেশ ভালই হচ্ছে। সামনের সপ্তাহ থেকে বিক্রি আরও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন। ফেনীতে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা নিজস্ব সংবাদদাতা ফেনী থেকে জানান, ক্রেতারা পছন্দের জিনিস খুঁজতে এক মার্কেট থেকে অন্য মাকের্টে দৌড়াচ্ছেন, তেমনী দোকানীরাও তাদের ক্রেতাদের মন ভরাতে জিনিসের পসরা দেখাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভন্ন মার্কেট আর শপিংমল গুলিতে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পণ্য ক্রয়ের সঙ্গে লটারির লাকী কুপন দিচ্ছে। এবার ঈদে ক্রেতারা শাড়ি, থ্রিপিসের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা- স্যান্ডেল সোনার গহনা, চুড়ি মালা কিনতে যেমন ভিড় জমাচ্ছে তেমনি উঠতি বয়সী তরুণরা লেটেস্ট ডিজাইনে পাঞ্জাবি, জিনস প্যান্ট খুঁজছে দোকানে দোকানে গিয়ে। দোকানিরা জানায়, এবার ঈদ বাজারে ভারতীয় পোশাক বেশ প্রভাব ফেলেছে। দেশী পণ্য ডিজাইনের কারণে অনেকটা মার খাচ্ছে। বাঁশখালীতে দাম নিয়ে বেকায়দায় মধ্যবিত্ত নিজস্ব সংবাদদাতা বাঁশখালী থেকে জানান, উপজেলার পুঁইছড়ি থেকে প্রেমবাজার পর্যন্ত কয়েক সহস্রাধিক দোকান ও মার্কেটে ঈদ সামগ্রীর সমাগম করেছে শপিং কমপ্লেক্সগুলো। এই শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন নারী-পুরুষ থেকে শুরু“করে শিশু-বৃদ্ধরা সমানতালে ঈদ বাজারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শনিবার বাঁশখালীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। পুঁইছড়ি থেকে পুকুরিয়া পর্যন্ত অসংখ্য আধুনিক মার্কেট হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতা শহরমুখী না হয়ে বাঁশখালীতেই তাদের প্রয়োজনীয় শপিং করে নিচ্ছেন। অনেকেই শহরমুখী হয়ে পড়েছে। বাঁশখালীতে বর্তমানে প্রতিটি মার্কেট ও দোকানগুলোতে উন্নতমানের কাপড় ও প্রসাধনী সমাহার ঘটিয়েছে। ফলে ক্রেতারা তাদের চাহিদা অনুসারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রসাধনী পেলেও দামের দিক দিয়ে একটু বেশি হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা বেকায়দায় পড়েছে।
×