ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভেজাল খাদ্যে সয়লাভ

শরীয়তপুরে যত্রতত্র সেমাই, বেকারি কারখানা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১১ জুলাই ২০১৫

শরীয়তপুরে যত্রতত্র সেমাই, বেকারি কারখানা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১০ জুলাই ॥ শহরসহ ছয় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ভেজাল খাদ্যে সয়লাব হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিস্কুটের বেকারি ও সেমাই কারখানা গড়ে উঠেছে যত্রতত্র। ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা, গোসাইরহাট, জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলা এবং সখীপুর থানার হাটবাজারসহ বাসাবাড়িতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত বিস্কুটের যেসব বেকারি কারখানা গড়ে উঠেছে তাদের অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকরা ময়লাযুক্ত পোশাক পরে গ্লাভস ছাড়াই হাতে-পায়ে ময়দা ছেনে বিস্কুট, পাউরুটি, চানাচুরসহ নানা প্রকার খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে। বছরের পর বছর এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করা হলেও দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শরীয়তপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই গত প্রায় ২৫ বছর ধরে জেলা স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পরিমল চন্দ্র ম-ল। সেই সঙ্গে মাঝেমধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। চোখে পড়ার মতো কোন ভেজালবিরোধী অভিযান হয় না শরীয়তপুরে। যেসব খাদ্য ব্যবসায়ীরা পরিমল চন্দ্র ম-লকে মাসোয়ারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, ভেজালবিরোধী অভিযানের খড়গ নেমে আসে তাদের ওপরই। রমজান মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান হলেও শরীয়তপুরের সংখ্যা শূন্যপ্রায়। সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিকরা নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বরে মধু লাচ্ছা সেমাই নামে অনুমোদনহীন একটি সেমাই কারখানার সন্ধান জানালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সিলগালা করে দেয় জেলা প্রশাসন। এসব বিষয় সম্পর্কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে জেলা স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর পরিমল চন্দ্র ম-ল বলেন, আমরা মাঝেমধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভেজাল খাদ্যের কারখানায় জরিমানা করি। এছাড়াও মাসোয়ারা আদায়ের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
×