নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১০ জুলাই ॥ নবনিযুক্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করতে বেশি সময় লাগবে না। কারণ এ ডিপার্টমেন্টটি আমার নিজ হাতে গড়া। আমি যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছি সেখানেও নানা ঝামেলা ছিল। সে মন্ত্রণালয় থেকেও পরিপূর্ণভাবে দুর্নীতি পুরোপুরি দূর করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিবেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এতে অন্য কোন বিষয় নেই। দলের মহাসচিবই এলজিআরডির মন্ত্রিত্ব পাবেন এমন কোন নিয়ম নেই। শুদ্ধি অভিযান নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভা চালাতে গিয়ে যাদের প্রয়োজন হবে তাদেরই নেবেনÑ এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এখতিয়ার। এটা আলোচনা-সমালোচনার বিষয় নয়, কর্তব্য ও নিষ্ঠা পালনের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যে কোন সময় যে কোন মুহূর্তে মন্ত্রিসভার যে কোন পরিবর্তন করার ক্ষমতা সাংবিধানিকভাবে রাখেন।
এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির জনক পিতার সমাধিবেদীতে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার এসএম এমরান হোসেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক সরদার সরাফাত আলী, শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজা মিয়া বাটু ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার খায়ের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান বিশ্বাস, ফরিদপুর জেলা যুবলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার (লেভী) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসবিরুল হুদা বাবুসহ গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মী ও সরকারী কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: