ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আটক ৪

প্রেমিকার বাড়িতে ডেকে প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ১০ জুলাই ২০১৫

প্রেমিকার বাড়িতে ডেকে প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৯ জুলাই ॥ বাড়িতে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রী মেয়ের প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিকাসহ চারজনকে আটক করেছে। ঘটনার পর প্রেমিকার বাবা হামিদুল ইসলাম পালিয়ে গেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হাতিমারা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী পারভীন আক্তারের সঙ্গে সম্প্রতি একই এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র তারেক রহমানের প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের টানে জুন মাসের প্রথমদিকে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা হামিদুল ইসলাম জয়দেবপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ তারেকের বড় ভাইকে গ্রেফতার করে। ভাইকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে তারেক ওই ছাত্রীকে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে আপোস মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছিল। পারভীনের প্রেমের সম্পর্ক তার মা শিরিন আক্তার মেনে নিলেও মেনে নেননি বাবা। এরই মধ্যে বুধবার রাত ১২টার দিকে হামিদুল তার মেয়েকে দিয়ে মোবাইল ফোনে তারেককে বাড়িতে ডেকে আনতে বলে। পারভীন তাতে রাজি না হলে তাকে বিদ্যুতের শক দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে পারভীন মোবাইলে তারেককে রাত সাড়ে ১২টার তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। রাতে তারেক পারভীনদের বাড়িতে আসার পর পারভীন ও তার মাকে পাশের রুমে আটকে রাখে। এরপর পারভীনের বাবা ও তার সহযোগীরা তারেককে রাতভর বেধড়ক মারপিট করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে তারেক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে তারেকের মুখে বিষ ঢেলে হাতিমারা এলাকার একটি মসজিদের পাশের রাস্তায় ফেলে রেখে আসে। নরসিংদীতে প্রাণ গ্রুপের গার্মেন্টসে হামলা, ভাংচুর বিনা চিকিৎসায় শ্রমিক নিহত নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী, ৯ জুলাই ॥ বিনা চিকিৎসায় শ্রমিক মারা যাওয়ার অভিযোগে প্রাণ গ্রুপের গার্মেন্টসে ব্যাপক ভাংচুর হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা কাজীরচরে প্রাণ গ্রুপের গার্মেন্টসে শ্রমিকরা হামলা চালায়। তারা জানালার কাঁচ, মেশিনারি ও বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতিসাধন করে। জানা গেছে, বিপ্লব নামে এক শ্রমিক ওই কারখানায় কর্মরত অবস্থায় বুধবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্রমিকদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ তাকে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় রাতে সে মারা যায়।
×