ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ১০ জুলাই ২০১৫

বাগেরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ নিম্নচাপের প্রভাবে গত তিন দিনের ভারি বর্ষণে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও মংলা পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও বস্তি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী, কচুয়া ও সদর উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল-মাদ্রাসা, ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকস্থানে বাড়ি-ঘরে পানি উঠে রান্না-খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। স্লুইজ গেটগুলো দিয়ে ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বিপর্যয় আরও বাড়ছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশুও দুর্ভোগে। জেলার অধিকাংশ মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক চিংড়ি ঘেরের অবস্থা খুবই নাজুক বলে চাষীদের সূত্রে জানা গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি ও ভাঙ্গন বেড়েছে। মোরেলগঞ্জ, মংলা, রামপাল, চিতলমারী, কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার অন্তত ১২টি স্থানে বেড়িবাঁধ ও সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। মংলায় পণ্য খালাস ব্যাহত ভারি বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মংলা বন্দরে মালামাল ওঠা-নামার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পশুর চ্যানেল, হাড়বাড়িয়া ও বহির্নোঙরে অবস্থান করা জাহাজগুলো থেকে পণ্য খালাস ও বোঝাই বন্ধ রয়েছে। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ গোলাম মোক্তাদির জানান, বর্তমানে বন্দরের পশুর চ্যানেল, হাড়বাড়িয়া ও বহির্নোঙরে দেশী-বিদেশী সাতটি জাহাজ অবস্থান করছে। এর মধ্যে ছয়টি বিদেশী ও একটি দেশী জাহাজ রয়েছে। বুধবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ রাখতে হয়েছে জাহাজে পণ্যবোঝাই ও খালাস কাজ। বরিশাল নগরবাসী পানিবন্দী স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বুধবার রাত থেকে অব্যাহত বৃষ্টিতে নগরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য নগরবাসী আবারও পর্যাপ্ত নালা (ড্রেন) না থাকা, নালা পরিচ্ছন্ন না করা এবং খাল-খনন বা সংস্কার না করাকে দায়ী করেছেন। সঙ্গে নতুন উপদ্রব হিসেবে যুক্ত হয়েছে বর্ষার সময় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। সূত্রমতে, বুধবার থেকে পুনরায় বৃষ্টি শুরু হলে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বুধবার রাত থেকে বেশ কয়েকটি সড়কে হাঁটুসমান পানির মধ্যে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। বরিশাল নদী, খাল ও জলাশয় রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, নগরের অবশিষ্ট খাল-খনন করে খালের প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য একাধিকবার সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও খাল-খনন বা সংস্কার হয়নি। ফলে বর্ষার পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে না পেরে একটু বৃষ্টিতেই পুরো নগরীতে হাঁটু সমান পানি জমে যায়।
×