স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ ইফতার ও সেহরিতে ২১ বার, তারাবিতে প্রায় ১৭ বার, এছাড়াও ১৯ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত দিন রাত মিলিয়ে ৯৩ বার। তার মধ্যে ৩ জুলাই শুক্রবার রাত ৯টা ৩৫ থেকে ১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুত ছিল না চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায়। আর দিনের বেলা প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুত যাওয়া আসা একটা সাধারণ নিয়মে পরিণত করেছে স্থানীয় বিদ্যুত বিভাগ। আরও ভয়াবহ চিত্র জেলা শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলা ও তার গ্রামাঞ্চলে। রাত দিনে প্রায় কোন সময়েই বিদ্যুত থাকে না বললেই চলে। এই কৃত্রিম বিদ্যুত লোড শেডিং নিয়ে এখানকার বিদ্যুত বিভাগের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বিদ্যুত ডিভিশন-১ এখানকার বিদ্যুত নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এখানকার নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিদ্যুত সেবা বঞ্চিত করার বিষয়ে একেবারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কেন্দ্রে যে অভিযোগ কেন্দ্রটি রয়েছে তা এখন জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পটিয়ায় ২০ গ্রামে বিদ্যুত ভোগান্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া থেকে জানান, বিদ্যুত নেই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ২০ গ্রামে। বিদ্যুত বিতরণ বিভাগ (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে রমজান মাসেও শত শত গ্রাহক ভোগান্তির কবলে পড়েছে। এমনকি গ্রামগঞ্জে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা বিদ্যুতও থাকছে না। তাছাড়া ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের কারণে মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। চলতি বর্ষা মওসুমে বৈরি আবহাওয়া ও বিদ্যুত অফিসের বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত নেই। মুসল্লিদের অভিযোগ, নামাজের পূর্বে ও ইফতারির সময় প্রতিদিন বিদ্যুত বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার হাইদগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, বুধপুরা, শান্তিরহাট, কুসুমপুরা, শোভনদ-ী, ছনহরা, কচুয়াই, বড়উঠান, চরপাথরঘাটা, ধলঘাট, কেলিশহর, কোলাগাঁও ইউনিয়নের ২০ গ্রামে বিদ্যুত নেই। অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ সদর দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে রমজানে যাতে লোড শেডিং না হয় সে ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।
এ প্রসঙ্গে পটিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ সদর দফতরের ডিজিএম (টেকনিশিয়ান) মোঃ গোলাম কাওছার বলেন, বৈরী আবহওয়া ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আংশিক কিছু এলাকায় যে বিদ্যুত লাইন বন্ধ রয়েছে তা ঠিক করে পুনরায় চালু করা হবে। ইতোমধ্যে লাইনম্যানরা কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।