ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বছর ঘুরলেও এখনও দগদগে গাজার যুদ্ধ-ক্ষত

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ১০ জুলাই ২০১৫

বছর ঘুরলেও এখনও দগদগে গাজার যুদ্ধ-ক্ষত

গাজা-ইসরাইল সংঘর্ষের পর বছর ঘুরে গেছে। গত বছরের আগস্টে শেষ হওয়া পঞ্চাশ দিনের লড়াইয়ে গাজায় যে রক্ত ঝরেছে, তাতে এখনও ন্যূনতম প্রলেপও পড়েনি। স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ১১ জনকে হারিয়েছেন গাজার বাসিন্দা ৩৬ বছরের আলি ওয়াদান। বোমার ঘায়ে খোয়া গেছে এক পা। অন্য পায়ের গুরুতর আঘাত সারানো যাবে না। সেই পা কেটে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে কেটে গেছে ১২ মাস। গাজার অলিগলিতে এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে যুদ্ধের দাগ। ধ্বংস হওয়া ১২ হাজার বাড়ি আর ক্ষতবিক্ষত ১০ লাখ বাসভবনের একটারও গায়ে এখনও মেরামতের চাদর চড়েনি। এখনও ঘরছাড়া ১০ হাজার মানুষ। আর এক বছর পরও গাজা-ইসরাইল সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যাটা স্পষ্ট হয়নি। জাতিসংঘের ত্রাণ বিভাগের প্রধান পিয়ের ক্রাহেনবুলের কথায়, ওই এলাকা টাইমবোমার অনুষঙ্গ মনে করিয়ে দেয়। সাধারণ মানুষের জীবন কিভাবে থমকে দিয়েছে এই লড়াই, তা ওই এলাকা দেখে বোঝা যাচ্ছে। আলি জানান, এখন কাঠ আর একটা বড় প্লাস্টিকের ছাউনির তলায় সপরিবার থাকেন তিনি। পরিবার বলতে দু-একজন এখনও প্রাণে বেঁচে আছেন। ইসরাইল-গাজা সীমান্তে একটি খামারে কাজ করতেন গাদি ইয়ার্কোনি। যুদ্ধ শেষের ঠিক আগের দিনই বোমার আঘাতে দুটো পা নষ্ট হয়েছে তার। তিনি জানালেন, যুদ্ধপরবর্তী মানসিক অবসাদের চিকিৎসা চলছে ওই এলাকার শ’পাঁচেক শিশুর। বর্তমানে গাদি স্থানীয় কাউন্সিলের সদস্য। সমস্ত শক্তি দিয়ে এখন শান্তির প্রচার করে চলেছেন তিনি। তার কথায়, সীমান্তের দু’দিকেই শান্তি বজায় রাখার ওপর নজর দিতে হবে। গাজা ভূখ-ের পাশাপাশি ইসরাইলের সীমান্ত এলাকাগুলোতেও উন্নয়নের কাজ হলে শান্তি ফিরবে। রক্তপাত থেকে মুক্তি এভাবেই ফিরতে পারে। বছর ঘুরলেও ক্ষতস্থান এখনও দগদগে। ঘর নেই, খাবার নেই, পরিজনের মৃত্যুতে এখনও শোকস্তব্ধ গাজা। ছবিটা বদলায়নি একটুও। -ওয়েবসাইট সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে গৃহযুদ্ধ পীড়িত সিরিয়া থেকে ৪০ লাখের বেশি লোক পালিয়ে গেছে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষ এখন সিরিয়ার কাছের দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে শুধু গত ১০ মাসেই ১০ লাখ লোক দেশ ছেড়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ কথা জানিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা এ্যান্টোনিও গুটারেস সতর্ক করে বলেছেন, ‘এক প্রজন্মের মধ্যে কোন একটি যুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের শরণার্থী হওয়ার ঘটনা। -এএফপি
×