ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের ‘অধিনায়ক’ শব্দ নিয়ে বিতর্ক

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১০ জুলাই ২০১৫

ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের ‘অধিনায়ক’ শব্দ নিয়ে বিতর্ক

ভারতের জাতীয় সঙ্গীত থেকে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি বাদ দিয়ে সেখানে ‘মঙ্গল’ শব্দটির ব্যবহারের করা উচিত। রাজস্থানের গবর্নর কল্যাণ সিং এই মন্তব্য করে রীতিমতো বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। খবর বিবিসি ও আনন্দবাজার পত্রিকার। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মঙ্গলবার কল্যাণ সিং বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সঙ্গীতে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি ইংরেজদের সন্তুষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ তখন ‘অধিনায়ক’ বা শাসক তারাই। শুধু আপত্তি তোলাই নয়, কল্যাণ সিং ‘অধিনায়ক’-এর জায়গায় ‘জনগণমন মঙ্গল গায়ে’ ব্যবহার করার প্রস্তাবও দেন। তিনি বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীতের শব্দটি বদলে দেয়া উচিত। তবে বুধবার টুইটে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীনতার পর ৬৭ বছর পেরিয়ে এসেছে। তাহলে ‘অধিনায়ক’ বলতে কেন ইংরেজ শাসক বোঝাবে? জাতীয় সঙ্গীতে কোন পরিবর্তন ঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু ‘অধিনায়ক’ নিয়ে এই বিতর্ক নতুন নয়। ১৯১১ সালে গানটি লেখার পরই বিতর্ক শুরু হয়। এই সময়ে ভারত সফরে এসেছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জ। তবে ১৯৩৭ সালে পুলিনবিহারী সেনকে লেখা এক চিঠিতে অবশ্য এই অভিযোগ খ-ন করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। শ্রোয়েডার ও কোহলের ফোনেও আড়ি পেতেছে যুক্তরাষ্ট্র দাবি উইকিলিকসের শুধু এ্যাঞ্জেলা মেরকেলই নয়, তার পূর্বসূরি জার্মান চ্যান্সেলরদের ফোনেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা আড়ি পেতে আসছিল বলে দাবি করেছে উইকিলিকস। জার্মানির রাজনীতিকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে বুধবার এই তথ্য ফাঁস করল জুলিয়ান এ্যাসেঞ্জ শিবির। খবর ওয়েবসাটের। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে বার্লিনে ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূতকে মেরকেলের তলবের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি বলেছিলেন, দু’দেশের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। পরিস্থিতি শান্ত করতে ওবামার ওই প্রয়াসের মধ্যে এখন উইকিলিকসের নতুন তথ্য ফাঁস বিশ্বের প্রভাবশালী এই দু’দেশের সম্পর্কে নতুন করে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। তবে এ বিষয়ে জার্মান সরকারের তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উইকিলিকস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বাহিনী এনএসএ মেরকেলই নয়, গেরহার্ড শ্রোয়েডার এবং তারও আগের চ্যান্সেলর হেলমুট কোহলের শাসনকালেও আড়িপাতা চালাত। তারা বলছে, মেরকেলের উপদেষ্টাসহ চ্যান্সেলরি অফিসের ১২৫ জন কর্মকর্তার ফোন নম্বরই শুধু নয়, ফ্যাক্স নম্বরটিও ছিল এনএসএ’র লক্ষ্যবস্ত। মের্কেলের সহযোগীদের ফোনেও চলত আড়িপাতা। উইকিলিকস এনএসএর কাছে থাকা মেরকেল কথোপকথনের তিনটি নথি প্রকাশ করেছে। এর একটি ২০০৯ সালের, যাতে মেরকেল ইরানের বিষয়ে ওবামার নীতি নিয়ে ব্যক্তিগত মত জানিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমির শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে।
×