ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১০ জুলাই ২০১৫

ঝলক

দ্বিতীয় বিয়ের চক্রেবেনজিরের স্বামী! পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বলে খবর রটেছে। বলা হচ্ছে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী জারদারির নতুন জীবনসঙ্গিনীর নাম তানভির জামানি। তিনি পেশায় চিকিৎসক। শোনা যাচ্ছে, স্বামীর ইচ্ছেতে রাজনীতিতেও নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তানভির। সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে জারদারি দুবাইয়ে ডাঃ তানভির জামানিকে বিয়ে করেন। তাঁদের ২ বছরের এক ছেলেও রয়েছে। নাম সাজাওয়াল। এই বিয়েকে কেন্দ্র করেই নাকি ছেলে বিলাওয়ালের সঙ্গে যত গোলমাল জারদারির। বিয়ের সময় জারদারি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন ছিলেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি মামনুন হোসাইনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান জারদারি। সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে দিন কাটছে তাঁর। অবশ্য এই খবর সত্য নয় বলে দাবি জারদারির। তিনি বলেছেন, আমি বেনজির ভুট্টোর স্বামী হয়েই মরতে চাই। তবে যাকে নিয়ে এত তোলপাড় সেই তানভীর জামানির কথাবার্তায় রয়েছে নানা রহস্য। জারদারি ও তাঁর সন্তান প্রসঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সব ছেলেমেয়েই তাঁর সন্তানসম! কিম জং উনের কীর্তি নিজ ফুপাকে কুকুর লেলিয়ে খুন করান তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে দেন ফায়ারিং স্কোয়াডে। প্রথম জনকে বিশ্বাসঘাতকের তকমা দিয়ে আর সভায় তন্দ্রালু হয়ে পড়ায় দ্বিতীয় জনকে। তিনি উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন। ২০১১ সালে পিতা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট হন এই একনায়ক। সেই থেকে দোর্দ-প্রতাপে দেশ শাসন করছেন। তাঁর শাসনের জামানায় অপরাধ হোক আর নাই হোক, পান থেকে চুনটি খসলে হলো। যেহেতু তিনি দেশের হর্তাকর্তা বিধাতা, যা খুশি তাই করবেন। এবার তাঁর ইচ্ছা-কীর্তির বলি হলেন এক খামারের ম্যানেজার। কচ্ছপের যতœআত্তি ঠিকমতো না হওয়ার কচ্ছপের শোকে ম্যানেজারকে গুলি করে মারেন স্বৈরশাসক কিম। হীরক-রাজও যেন কিমের কাছে নস্যি। হীরক রাজের কোপানলে পড়লে তবু ওই রাজ্যের বাসিন্দারা মগজ ধোলাই নিয়ে পার পেতেন। জীবন দিতে হতো না সেখানে। গণতন্ত্রের এই যুগেও কিমের কাছে উত্তর কোরিয়ার মানুষদের জীবন দিতে হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রমতে, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত কিমের হাতে ৭০ জনকে মরতে হয়েছে। এর সর্বশেষ বলি এই খামারের ম্যানেজার। ঘটনা মে মাসের। দিনের আলোয় এলো সম্প্রতি। তিয়াডংগং টেরাপিন (কচ্ছপের এক বিশেষ প্রজাতি) খামার ঘুরে দেখতে গিয়েছিলেন কিম। ওই খামারের ম্যানেজার কিমকে খামারের সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাতে আসেন। বিপত্তি বাধে এখানেই। খামারে টেরাপিনদের দেখে হাসি ফোটেনি কিমের। বরং খাবার না পেয়ে কয়েকটি ছোট কচ্ছপ মারা গিয়েছে শুনে মেজাজ সপ্তমে চড়ে কিমের। ম্যানেজার বোঝানো চেষ্টা করেছিলেন, মাঝে মাঝে বিদ্যুত থাকে না বলে খাবার ও পানির ঘাটতি হয়। বড় কচ্ছপগুলো এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও ছোট কচ্ছপের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে। কিন্তু কোন যুক্তিই কানে তোলেননি কিম। কিছুইতেই তাঁর মন গলেনি। পরিদর্শন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পরই গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় তিয়াডংগং খামারের ম্যানেজারের শরীর। এ যেন উদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে উত্তর কোরিয়া। উদ্ভূত উটটি অবশ্য কিম জং উনের খেয়াল-মর্জি। ইফতার পার্টি সংখ্যালঘু তোষণের অস্ত্র! ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের একটি সিয়াম। ধর্মীয় বিধান অনুসারে মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ, অবশ্য পালনীয়। যাবতীয় ধর্মকর্ম পালনের চূড়ান্ত লক্ষ্য স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ। লক্ষ্য সংযমের শিক্ষা গ্রহণও। কিন্তু কারও কারও কাছে রোজার অর্থ ভিন্ন। বিশেষ করে যেন ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। এদের কাছে রোজা হয়ে উঠেছে প্রচারের হাতিয়ার। সেদেশে কে কতটা সংখ্যালঘুবান্ধব, কত মুসলমান দরদি, তা প্রমাণের জন্য চলছে ইফতার পার্টি আয়োজনের এক অদ্ভুত প্রতিযোগিতা। রাজ্যকেন্দ্রিক দলগুলো থেকে শুরু করে জাতীয় দল কংগ্রেস থেকে বিজিপি কেউই কম যাচ্ছে না। বর্তমান ভারতে রমজান মাসের চিত্র এমনটাই। বুঝতে অসুবিধা হয় না, সেদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইফতার পার্টি আয়োজনের উদ্দেশ্য মুসলমানদের ভোট পাওয়া। ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যমতে, সেদেশ মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলমান। রাজ্যভেদে এই হার কোথাও বেশি, কোথাও কম। তাই সেদেশে ভোটের রাজনীতিতে বিষয়টির বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটের রাজনীতির কারণেই দেখা যায় আমাদের দেশসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তক কাপড়ে আবৃত, তাঁর হাত অবিকল মুসলমানদের মতো প্রার্থনায় (মোনাজাত) রত। যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ছড়ানোর অভিযোগ, বর্তমানে ঘরওয়াপসি তথা হিন্দু ধর্মে পুনর্দীক্ষিতকরণে যারা তৎপর, যাদের সদস্যদের কেউ কেউ এখনও রামরাজ্যের স্বপ্নেবিভোর, তারাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। ৪ জুলাই স্বয়ংসেবক সংঘও ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিল। এ যেন ধর্মনিরপেক্ষতা ও মুসলিমহিতৈষা প্রমাণের এক প্রতিযোগিতা। আর এক্ষেত্রে ভারতে ইফতার পার্টি সংখ্যালঘু তোষণের অস্ত্র! অতীতে এই রকম অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা যেত না বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটিতে। কেননা, মহাত্মা গান্ধী নিহত হওয়ার পর দিল্লীর সংখ্যালঘু মানুষ চোখের জল ফেলে বলেছিল, আমরা অভিভাবক হারালাম। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ গোটা ভারতের মানুষ শোকে মূহ্যমান ছিল। গান্ধী যে ধর্মনিরপেক্ষ, তা প্রমাণ করতে তিনি টুপি মাথায় চাপিয়ে ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন, ইতিহাসে কেউ এমন কোন নজির উপস্থাপন করতে পারবে না। মাওলানা আজাদকে কখনও পুজোতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জওহরলাল নেহেরু, রাষ্ট্রপতি জাকির হোসন প্রমুখরাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন না।
×