ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে ঈদবাজার

ক্রেতারা শপিংমল ছেড়ে বুটিকসে

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ৯ জুলাই ২০১৫

ক্রেতারা শপিংমল ছেড়ে বুটিকসে

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ টিনেজ থেকে শুরু করে শিশুদের মধ্যেও পোশাকের বাহার কাজ করছে প্রতিনিয়ত। রমজান শেষে ঈদের আনন্দ অনেকটা পোশাক নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তবে প্রবীণ সমাজ একসময় সাদাসিধে পোশাক নির্ভরশীল থাকলেও ডিজিটাল যুগে এসে তৃতীয় প্রজন্মের দেখাদেখি রঙিন পোশাকে অনেকেই নিজেদের সাজাতে চায়। ফলে টিনেজদের সঙ্গে ছুটছে প্রবীণরাও। বিভিন্ন শপিংমলের ডিসপ্লেতে পছন্দসই পোশাক পাওয়া না গেলে ইন্ডিভিজুয়্যাল শোরুমগুলোতে ছুটছে পছন্দের পোশাকের জন্য। ক্রেতারা ছুটছে বুটিকসে। এবারের ঈদ পড়েছে মাসের মাঝামাঝি। ফলে চট্টগ্রামের ঈদবাজার জমে উঠেছে রমজানের শেষ পর্যায়ে। পোশাকে চাকচিক্য চায় তরুণীরা। তৃতীয় প্রজন্মের এ টিনেজরা রঙের সঙ্গে কাজের যেমন মিল খোঁজে তেমনি ঐসব পোশাক পরিধানেও নানা অর্নামেন্টের প্রতি আকর্ষণ থাকে। এর পেছনে কাজ করছে নিজেদের সাজিয়ে তোলার প্রয়াস। কথায় আছে ছেলেরা সুন্দর। তাই তাদের সাজতে হয় না, বিউটিপার্লারেও যেতে হয় না। কিন্তু মেয়েদের সুন্দরী সাজাতে প্রয়োজন পোশাকের পাশাপাশি নানা হারবাল প্রক্রিয়ার ছোঁয়া। প্রতিবছরই ঈদে নতুন চমক নিয়ে হাল ফ্যাশনের ডিজাইনের পোশাক নামে ভারতীয় নাটক, ছবি ও আইটেম গার্লদের নামকে কেন্দ্র করে। আর বাঙালী পরিবারের মেয়েরা ঝুঁকে পড়ে এসব নামের ওপরভিত্তি করে পোশাকের খোঁজে। সে ফাঁকে অসাধু ব্যবসায়ী ও ডিজাইনাররা নাম বিকিকিনির মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান চাঙ্গা করে নেয়। মূলত দেশীয় সাজে, দেশীয় তৈরি পোশাকের প্রতি সচেতন নাগরিকদের নানা বুলি শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় বিভিন্ন শোরুমের ডিসপ্লেতে সাজানো পোশাকের ভিড়ে। তরুণ সমাজের মধ্যে এবার টিশার্ট, পলো টিশার্ট, ক্যাজুয়াল টিশার্ট, ফরমাল টিশার্ট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবি কমন আইটেমে পরিণত হয়েছে। এ বছর আবার ইন্ডিভিজুয়াল শোরুমের সংখ্যাও বেড়ে গেছে ঈদকে কেন্দ্র করে। নগরীর সবচেয়ে বেশি একক শোরুম দেখা যাচ্ছে চকবাজার, জিইসি ও আগ্রাবাদকেন্দ্রিক। পাশাপাশি বুটিকস হাউসগুলো পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে পোশাকের স্তূপে আর ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট। ফ্যাশনের পাল্লা ভারি করতে আড়ংয়ের মতো ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে তৈরি হাতের নকশি কালেকশনেও টিনেজদের পিছুটান নেই। এদিকে, বিভিন্ন ক্রেতারা নগরীর পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারের তুলনা করতে গিয়ে ঈদের পোশাকের দাম অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন। কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন ফ্যাশনের কথা চিন্তা করতে গিয়ে কস্টিং বেড়ে গেছে। তাই দাম তুলনামূলকভাবে ততটা নাগালের বাইরে নয়।
×