ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উল্টো চিত্র চীনে

এশিয়ার শেয়ারবাজারে গ্রীসের গণভোটের নেতিবাচক প্রভাব

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ৭ জুলাই ২০১৫

এশিয়ার শেয়ারবাজারে গ্রীসের গণভোটের নেতিবাচক প্রভাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গ্রীসের গণভোটের প্রভাবে এশিয়ার শীর্ষ শেয়ারবাজারগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তির দেশ চীনের শেয়ারবাজারে ঠিক বিপরীত চিত্রই দেখা যাচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় সবগুলো সূচকের বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। এরমধ্যে ৮ শতাংশ পর্যন্ত সূচক বৃদ্ধি হয়েছে। সাংহাই কম্পোজিটের সূচক ২.৬ শতাংশ বেড়ে ৩৭৮৩.৬৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর আগে গত জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে ধারাবাহিক পতনে এ সূচকটির পতন হয়েছিল প্রায় ৩০ শতাংশ। এরমধ্যে গত শুক্রবার একদিনেই পতন হয়েছিল ৬ শতাংশ। গ্রীসের গণভোটের ফলাফলেও চীনের শেয়ারবাজারে প্রভাব না পড়ার পেছনে গত কয়েকদিন ধরে নেয়া পদক্ষেপকেই কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। গত শনিবার অনুষ্ঠিত স্টক ডিলারদের এক বৈঠকে ২১০ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়। ব্লু-চিপস কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয় এমন ফান্ডে তারা এ অর্থ বিনিয়োগ করবে। এদিকে স্টক ডিলারদের পাশাপাশি দেশটির সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোও নতুন করে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার দেশটির তিনটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ১২০ মিলিয়ন ইউয়ান বা তিন কোটি ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দিতে ইক্যুয়িটি ফান্ডে তারা এ অর্থ বিনিয়োগ করবে। এদিকে দেশটির সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৫টি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতষ্ঠান শেয়ার ক্রয় করছে এবং অপর ৬৯টি প্রতিষ্ঠানও শেয়ার ক্রয় করবে বলে জানিয়েছে। দেশের শেয়ারবাজারে চলমান ধস ঠেকানোর অংশ হিসেবে বিনিয়োগের এসব ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে স্টক ডিলার ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন অভূতপূর্ব পদক্ষেপের কারণে দেশটির শেয়ারবাজারে ইতিবাচক হাওয়া লেগেছে। তবে গ্রীসের গণভোটের প্রভাব জাপানের নিক্কি ২২৫ সূচকের পতন হয়েছে ১.৩ শতাংশ। এশিয়ার বৃহৎ পুঁজিবাজারের মধ্যে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ দরপতন হয়েছে। এছাড়া টোকিও ২ দশমিক ১৮ শতাংশ, সিউল ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, সিডনি ১ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ওয়েলিংটনের স্টক মার্কেটে শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ দরপতন হয়েছে। ভারতের পুঁজিবাজারেও পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব। সোমবার সকালে সেনসেক্স ৩০০ পয়েন্ট নিচে নেমে যায়। মার্কিন ডলারের তুলনায় ভারতের টাকার দামও কমেছে। এদিকে জাপানের শেয়ারবাজারে পতনের পর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর হারিহিকু কুরুদা এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রীসের সঙ্গে জাপানের অর্থনৈতিক কর্মকা- খুবই সীমিত আকারের। তারপরও পরিস্থিতির আলোকে জাপান সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাপানের শেয়ারবাজার যেন একটি স্বাভাবিক শেয়ারবাজারের মতো আচরণ করে সেটি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। অপরদিকে গণভোটে ইউরোর দরে পতন হয়েছে। ইয়েনের তুলনায় ইউরোর পতন হয়েছে ১.৫ শতাংশ। এর ফলে ইউরোর দর গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। পণ্যবাজারে বিশেষ করে তেলের দরে প্রভাব পড়ছে। অপরিশোধিত তেলের দর ১ শতাংশ কমেছে।
×