ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চীনে ধস ঠেকাতে আইপিও লেনদেন স্থগিত

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ৭ জুলাই ২০১৫

চীনে ধস ঠেকাতে আইপিও লেনদেন স্থগিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চীনের পুঁজিবাজারে ব্যাপক ধসের পর নড়েচড়ে বসেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত তিন সপ্তাহের ধসে পরিস্থিতি উত্তরণে আইপিও লেনদেন স্থগিত ও বাজার স্থিতিশীলতা বিষয়ক তহবিল গঠনে সরকারের অনুমোদিত একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে দেশটির বড় ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ ও নিউইয়র্ক টাইমস। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে জানানো হয়, সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জে ১০টি কোম্পানি আইপিও লেনদেন স্থগিত রাখবে। অন্যদিকে শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জেও ১৮টি কোম্পানি একই ধরনের পদক্ষেপ নেবে। মন্ত্রিপরিষদ স্টেট কাউন্সিলের এক বৈঠকে এসব নির্দেশ দেয়া হয়, যা দেশটির পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা চায়না সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। তবে আইপিও লেনদেনে দেয়া স্থগিতাদেশ কবে নাগাদ তুলে নেয়া হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। মূলত আইপিও লেনদেনে স্থগিতাদেশ দেয়ার ফলে লগ্নিকৃত অর্থ সরিয়ে নেয়া প্রতিহত করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের প্রথম সারির ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার বাজারের জন্য একটি পুনরুদ্ধার তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আইপিও স্থগিতের পদক্ষেপটি নেয়া হয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত সিকিউরিজ অ্যাসোসিয়েশন অব চায়নার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২১টি বৃহত্তম ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান কমপক্ষে ১২০ বিলিয়ন ইউয়ানের (১৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার) একটি জরুরী পুণরুদ্ধার তহবিল গঠনে একমত হয়েছে। বড় ও সবচেয়ে স্থিতিশীল কোম্পানিগুলোর শেয়ার ক্রয় এবং নিজস্ব পোর্টফোলিও থেকে শেয়ার ক্রয় বন্ধের লক্ষ্যে গঠিত তহবিলটির অর্থ সোমবার থেকে পাওয়া যাবে। যদিও বিশ্লেষকদের মধ্যে অনেকেই বলছেন শেয়ার বাজার থেকে অর্থ বেরিয়ে যাওয়া রোধ করতে এ পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। গত শুক্রবার সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্সটির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ পতন হয়। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে দরপতনে থাকা চীনের পুঁজিবাজার ২ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যমান হারিয়েছে। ১৯৯২ সালে পর এটিই ছিল পুঁজিবাজারে সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে দরপতন। এ অবস্থায় চীন সরকার বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষার অনুরোধ জানিয়েছে।
×