ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মেধাবী খাদিজা কি লেখা পড়া চালিয়ে যেতে পারবে?

প্রকাশিত: ০৭:৫৯, ৭ জুলাই ২০১৫

মেধাবী খাদিজা কি লেখা পড়া চালিয়ে যেতে পারবে?

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৬ জুলাই ॥ বই কিনতে পারেনি। কলেজে যাওয়ার এক সেট জামা-কাপড়ও নেই। তারপরও উচ্চ শিক্ষার আশায় বাবা আলমাস প্যাদার মালটানা ভ্যানের যাত্রী হয়ে প্রথম দিন কলেজে এলো অদম্য খাদিজা। সাত শ’ টাকা কর্জ করে ভর্তির কাজটি সম্পন্ন করতে পারলেও এরপর কী হবে তা ভেবে বিনিদ্র রাত কাটে আলমাসের। একই শঙ্কায় প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে খাদিজার। বাবার ভ্যানে করে এভাবে স্কুলের ক্লাস করেছে খাদিজা, এখন কলেজে আসতে হচ্ছে। কিন্তু জীবিকার চাকা ঠেলতে যে মানুষটির একমাত্র ভরসা তামাটে রঙের শরীর। তার পক্ষে মেয়ের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন কী করে পূরণ করবেন তা নিজেরও জানা নেই। এসএসসিতে খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে খাদিজা। মেয়ের লেখাপড়ার জন্য মানুষের কাছে আর কত ধর্না দেবেন কর্মজীবী মানুষটি, তা নিজেই ভাবতে পারছেন না। তিন সন্তানের মধ্যে বড় খাদিজা। মেঝ রাসেল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। ছোট ভাই ইমনের বয়স তিন বছর। টিয়াখালী ইউনিয়নের কুড়িকানি গ্রামে রাস্তার পাশে অন্যের জমিতে তোলা ঝুপড়িঘরে বসবাস। সংসারসহ সকল খরচের একমাত্র উপায় বাবার শ্রম। খাদিজার বাবা আলমাস প্যাদা বলেন,‘মুই মূর্খ। তাই মাইয়া-পোলাগোরে ল্যাহাপড়া করাইতে চাই। যাতে অগো কেউ মূর্খ না কইতে পারে। হেইর লাইগ্যা এত কষ্ট করছি। কামাই যা করি হ্যাতে কোনদিন চাউল কেনার টাহা হয়, কোনদিন আবার অয় না। পোলাডা স্কুলে পড়ে। মাইয়াডারে কলেজে ভর্তি করাইছি ধার কইর‌্যা। এ্যাহন যে ক্যামনে সংসার ও অগো ল্যাহাপড়া চলবে হেই চিন্তা করি।’ মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘মাইয়া-পোলার চিন্তায় ২০/২৫ দিন অসুস্থ হইয়া ঘরে পইড়্যা থাকলেও অগো মুখের দিকে চাইয়া অসুস্থ শরীর নিয়া মানুষটা আবার ভ্যান লইয়া বাইরাইছে। এ্যাহন তার কাছে নিজের জীবনের চাইয়া অগো ল্যাহা-পড়াই সব।’ মৎস্য সম্পদ উৎপাদনে চতুর্থ বাংলাদেশ বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে মৎস্যসম্পদ অন্যতম। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের ব্যাপক সম্ভাবনার পাশাপাশি সুযোগ হচ্ছে বিপুলসংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের। এছাড়াও এ খাতকে ঘিরে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা ও জাতকরণ প্রতিষ্ঠান। বিদেশে চাহিদা সম্পন্ন মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার অবারিত সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বে বাংলাদেশ মৎস্যসম্পদের উৎপাদনে রোল মডেল হতে চলেছে। বর্তমানে মৎস্যসম্পদের উৎপাদনে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। প্রতিনিয়ত মৎস্য বিষয়ক গবেষণা ও মৎস্য চাষ বাড়লেও একে নিয়ে গবেষণার এখনও যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সম্প্রতি বিদেশে ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন কুচিয়া-কাঁকড়া চাষে নতুন প্রকল্প অনুমোদন করছে। আর সরকারের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রতি বছর এক লাখ মেট্রিক টন মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর সরকারের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে গবেষণা ও নতুন চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। সোমবার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে বিগত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের গবেষণার অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের গবেষণা প্রকল্প প্রণয়ন ও ভবিষ্যত করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনার বক্তারা এসব কথা বলেন। বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলী আকবর, বিশেষ অতিথি মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক এম.আই গোলদার উপস্থিত ছিলেন।
×