ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা ল্যাঙ্গেভেল্টের

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ৭ জুলাই ২০১৫

ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা ল্যাঙ্গেভেল্টের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কিছুদিন আগেও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে নিজেই খেলেছেন। আর এখন তিনিই জাতীয় দলের বোলিং কোচ। চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট কোচ হিসেবে এবারই প্রথম দলের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ সফরে তার নিজেরও পরীক্ষা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দলের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছেন। দলও বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে। তবে ল্যাঙ্গেভেল্ট মনে করেন দলের বোলারদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অনেক কাজ বাকি রয়েছে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেলেও ল্যাঙ্গেভেল্ট আজ দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছেন। সোমবার এসব কথা বলেন প্রোটিয়া বোলিং কোচ ল্যাঙ্গেভেল্ট। সফরের শুরুতেই দারুণ জয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। এ কারণে সোমবার অনুশীলনেই নামেনি তারা। একাদশেও কোন পরিবর্তন না আনার চিন্তাভাবনা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে। এ বিষয়ে প্রোটিয়া বোলিং কোচ ল্যাঙ্গেভেল্ট বলেন, ‘এটা নির্ভর করে উইকেটের ওপর। আমি মনে করি গতকাল (রবিবার) আমরা যদি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতাম সেক্ষেত্রে আমাদের সমস্যায় পড়তে হতো। আমি মনে করি এটা উইকেটের ওপরের মাটির ওপর অনেকখানি নির্ভর করে। আশা করছি আমরা আগামীকাল (আজ) একই একাদশ নিয়ে নামব এবং একটি সিদ্ধান্ত নেব।’ প্রথম ম্যাচে টস ভাগ্যটাও নিজেদের পক্ষে ছিল। সে কারণেও লাভবান হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বিষয়ে ল্যাঙ্গেভেল্ট বলেন, ‘অবশ্যই নিজ মাঠের সুবিধাটা তাদের পক্ষেই যাবে। এ কারণে আমরা প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট ছিল খুবই ধীর। এটা বোলিংয়ের জন্য সুবিধা করছিল। এটা টসের ওপর নির্ভর করে। আপনি কখনই টসের ফলাফল জানতে পারেন না, আপনি টস হারতে পারে।’ বাংলাদেশ দল ব্যাটিং করার সময় দারুণ আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে সেটা দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ল্যাঙ্গেভেল্ট বলেন, ‘আমাদের কিছুটা আক্রমণাত্মক হতেই হবে যেহেতু বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আমাদের একটা আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা ছিল। শেষ বলে বাউন্স দেখেন। এটাই বোলিংয়ের ধরন ছিল এবং ছেলেরা খুব ভালভাবে সে অনুসারে নিজেদের প্রয়োগ করেছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা আমাদের আক্রমণাত্মক মনোভাব দিয়ে চমকে দিতে পারব না। সে কারণে আমরা চার ফাস্ট বোলার খেলিয়েছি। গতকাল (রবিবার) সেটা আমাদের জন্য কার্যকর হয়েছে। হয় তো আরেকদিন এটা কাজ করবে না। আমাদের মানিয়ে উঠতে হবে। সর্বোপরি বড় বিষয় হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং এখন সবকিছু মানিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। সুতরাং আপনি কোনভাবেই জয়ের জন্য যে বোলিং করে সেই সাকিব এবং ভাল বোলিং করা মুস্তাফিজের ওপর আক্রমণাত্মক হতে পারবেন না। এটা শুধুই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে ওঠার বিষয়।’ দলের বোলিংটা প্রথম ম্যাচে ভাল হয়েছে। সেটা নিয়মিত করতে পারাটাই এখন চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। কারণ লক্ষ্যটা আগামী বছর ভারতে টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে। এ বিষয়ে ল্যাঙ্গেভেল্ট বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছেলেদের ওপর কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এটা আমার জন্য নতুন। সুতরাং আমি বোলিংয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করছি। আমি যখন এ উপমহাদেশের পরিবেশে খেলেছিলাম তখনকার জ্ঞানটা আমি সবাইকে জানানোর চেষ্টা করছি। আমি মনে করি আমাদের মূল উদ্দেশ্য পরবর্তী টি২০ বিশ্বকাপের আগে দারুণ কিছু করা যাবে। আমাদের দক্ষতার উন্নতিও হয়েছে কিন্তু সেটা এখনও শতভাগ হয়নি। আমরা তরুণ একটা চমৎকার আক্রমণ বিভাগ পেয়েছি। আমরা তাদের দক্ষতা নিয়ে শিক্ষা দিচ্ছি।’ দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে অবশ্যই বাংলাদেশকে সমীহ করা উচিত বলে মনে করেন ল্যাঙ্গেভেল্ট। তিনি বলেন, ‘এটা আন্তর্জাতিক খেলা। সুতরাং আমাদের ভাল করতে হলে সমীহ করতে হবে। আমি মনে করি তারা ভাল ক্রিকেট খেলছে। আমি মনে করি আমরা আগামীকাল ভাল একটা খেলা কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করতেই পারি। আগামী বছর ভারতে টি২০ বিশ্বকাপ প্রস্তুতির উদ্দেশ নিয়ে এসেছি। সুতরাং আমরা এখানে এসেছি উপমহাদেশে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে। আমরা বাংলাদেশ দলকে আমাদের বিপক্ষে আরও কঠোর হয়ে চেপে বসার প্রত্যাশা করেছিলাম। আমি মনে করি আমাদের একই ছন্দ নিয়ে নামা উচিত।’
×