ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউরোপীয় রেকর্ড ছুঁলেন ভিকো

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ৭ জুলাই ২০১৫

ইউরোপীয় রেকর্ড ছুঁলেন ভিকো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিজেকে আগামী এ্যাথলেটিক্সের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অন্যতম প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে প্রমাণ করলেন জিমি ভিকো। প্যারিসে ডায়মন্ড লীগ মিটে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এ স্প্রিন্টার। অন্যতম প্রতিপক্ষ জ্যামাইকার আসাফা পাওয়েলকে পেছনে ফেলতে পারেননি অবশ্য। হারলেও ভিকো ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ইউরোপীয় রেকর্ড ছুঁয়েছেন নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে। সবমিলিয়ে ৯.৮৬ সেকেন্ড সময় নেন এ ফরাসী স্প্রিন্টার। ১১ বছর আগে একই সময় নিয়ে ইউরোপীয় রেকর্ড গড়েছিলেন পর্তুগালের ফ্রান্সিস ওবিকুয়েলা। সেটাকে ছুঁয়ে ফেললেন ভিকো। পাওয়েল ৯.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে জিতে গেছেন। ফ্রান্সের স্প্রিন্ট জগতে এতদিন সর্বকালের সেরা হিসেবে এবং নৈপুণ্য বিবেচনায় অন্যতম সেরা হিসেবে ধরে নেয়া হতো ক্রিস্টোফ লিমেটেয়ার। কারণ এতদিন ফ্রান্সের পক্ষে সেরা টাইমিং ছিল তার দখলে। তিনি ৯.৯২ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে জাতীয় রেকর্ডের মালিক ছিলেন। ২০১১ সালে ওই টাইমিং গড়েছিলেন লিমেটেয়ার। কিন্তু প্যারিসে ডায়মন্ড লীগে নতুন রেকর্ড গড়ে ফেললেন ভিকো। ছাড়িয়ে গেলেন লিমেটেয়ারকে। ১১ বছর আগে ইউরোপীয় কোন স্প্রিন্টার হিসেবে সবচেয়ে গতিধর মানব হিসেবে রেকর্ডটা স্থাপন করেছিলেন ওবিকুয়েলা। সেটা ছিল ২০০৪ সালে গ্রীসের এথেন্সে হওয়া অলিম্পিক গেমসে। ওবিকুয়েলা ইউরোপীয় রেকর্ড গড়ে জিতেছিলেন অলিম্পিক রৌপ্য। আর এদিন ওবিকুয়েলা অতীত হয়ে গেলেন ভিকোর কাছে। এদিন নিজেকেও অনেকখানি পেছনে ফেলেছেন ভিকো। এর আগে তার ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং ছিল ৯.৯৫। ভিকো ২০১১ সালের জুনিয়র বিশ্ব এ্যাথলেটিক্সের ১০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এবার তার স্বপ্ন বড়দের আসরে দারুণ কিছু করার। বিশ্বের খ্যাতিমান স্প্রিন্টারদের সঙ্গে প্রথমবার দৌড়ে দারুণ একটা অর্জনও হলো তার। ভিকো বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি। আমি ফরাসী রেকর্ডের দিকে লক্ষ্য রেখেছিলাম। যখন দৌড়াচ্ছিলাম তখনই আমার মাথায় ছিল।’ অবশ্য ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং ছাড়িয়ে যেতে সময় লেগেছে দুই বছর। এ বিষয়ে ভিকো বলেন, ‘এটা কিছুটা কঠিন ব্যাপার দুই বছর ৯.৯৫ টাইমিংয়ে থাকা এবং অন্যদের দেখা যে তারা ৯.৯০ এর চেয়ে নিচে টাইমিং করছে। এক্ষেত্রে শুধু একটা কাজই করার আছে সেটা হচ্ছে অনুশীলন করে আরও দ্রুতগতিতে ছোটার চেষ্টা করা। আমি অনুশীলনে সেটাই করেছি এবং শেষ পর্যন্ত সেটার সুফলও পেলাম।’ ইউরোপিয়ান এ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য লেমিটেয়ারের কাছে ২০১২ সালে হেলসিংকিতে হেরে গিয়েছিলেন ভিকো। লেমিটেয়ারের ১০.০৯ সেকেন্ড টাইমিংয়ের পরিবর্তে ভিকো করেছিলেন ১০.১২ সেকেন্ড টাইমিং।
×