ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এখনও অমীমাংসিত’

ইরান নমনীয় না হলে আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাবে ॥ কেরি

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ৭ জুলাই ২০১৫

ইরান নমনীয় না হলে আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাবে ॥ কেরি

এ সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব যদি ইরান প্রয়োজনীয় ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ গ্রহণ করে। না করলে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা থেকে বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ কথা বলেন। রবিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে অনুষ্ঠিত চারটি বৈঠকের একটির বিরতির সময় কেরি বলেন, গত কয়েকদিনের আলোচনায় তারা ‘প্রকৃত অগ্রগতি’ অর্জন করেছেন, তবে ‘সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলোর কয়েকটি’ এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ভিয়েনায় ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও অপর পাঁচ শক্তির মধ্যে পরপর ষষ্ঠ দিনের মতো অনুষ্ঠানরত আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় এবং তা দ্রুত নেয়া যায়, তবে এ সপ্তাহে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি। আর তা না নেয়া গেলে চুক্তি হবে না। খবর- ইয়াহু নিউজের। ১২ বছরের পুরনো বিরোধের অবসান ঘটিয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর মঙ্গলবারের নির্দিষ্ট সময়সীমাকে সামনে রেখে বড় শক্তিগুলোর শেষ মুহূর্তের চাপ সৃষ্টির মধ্যে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভিয়েনায় আসতে শুরু করেছেন। কেরি বলেন, আলোচনাকারীরা এখনও ওই সময়সীমা ধরেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অন্য কূটনীতিকরা বলেছেন, আলোচনা ৯ জুলাই পর্যন্ত গড়াতে পারে। ওই তারিখের মধ্যে ওবামা প্রশাসনকে একটি ৩০ দিনের দ্রুত পর্যালোচনার সুযোগ পেতে কংগ্রেসে একটি খসড়া চুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। আলোচনাধীন চুক্তিতে ইরানকে অবরোধ থেকে রেহাই পাওয়ার বিনিময়ে অবশ্যই একদশকের জন্য তার সবচেয়ে স্পর্শকাতর পরমাণু কর্মসূচী সীমিত করতে হবে। অবরোধের জন্য ইরানকে তার তেল রফতানি ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে হয়েছে এবং দেশটির অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কেরি বলেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন আলোচনা ছেড়ে যেতে প্রস্তুত আছে। কংগ্রেসের রিপাবলিকান দলীয় সদস্যবৃন্দ এবং ইসরাইল ইরানকে খুব বেশি ছাড় দেয়ার জন্য ওবামা প্রশাসনকে দোষারোপ করেছে। কেরি বলেন, ‘আমরা যদি কোন চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারি এবং আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিতে সম্পূর্ণ একরোখা মনোভাব ও অনাগ্রহ থাকে, সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ওবামা সব সময় বলেছেন, আমরা আলোচনা পরিত্যাগে প্রস্তুত আছি।’ ইউরোপীয় কর্মকর্তারাও বলেছেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ভার ইরানের ওপরেই পড়েছে। ভিয়েনায় পৌঁছে ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফেবিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান প্রশ্ন হলো ইরান অমীমাংসিত প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে ‘সুস্পষ্ট অঙ্গীকার’ করবে কিনা। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ওয়ান্টার স্টাইনমাইয়ার বলেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সাহস ও আপোসের মনোভাব থাকতে হবে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি তেহরানের... সর্বোপরি এই সাহস আছে।’ প্রধান শক্তিগুলোর সন্দেহ ইরান পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে।
×