ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিনিয়র চীনা কূটনীতিকের ইঙ্গিত

রুশ-চীন নিরাপত্তা জোটে যোগ দিচ্ছে পাকিস্তান ও ভারত

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৭ জুলাই ২০১৫

রুশ-চীন নিরাপত্তা জোটে যোগ দিচ্ছে পাকিস্তান ও ভারত

পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত এ সপ্তাহের শেষনাগাদ রাশিয়ায় চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি নিরাপত্তা জোটে যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু করবে। একজন সিনিয়র চীনা কূটনীতিক সোমবার একথা বলেন। ২০০১-এ গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম গোষ্ঠীটি সম্প্রসারিত হচ্ছে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) নামে এই জোটে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো চীন, রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তান। ভারত, পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তান ও মঙ্গোলিয়াকে পর্যবেক্ষক দেশের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজের। চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেং গুওপিং এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এসসিও’র প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলের আরও অনেক দেশ জোটে যোগদান করতে আসছে। এসসিওতে ভারত ও পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তি জোটের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জোট তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে একটি গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে।’ ১৯৪৭-এর পর ভারত ও পাকিস্তান তিনটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। দু’টি হয়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল কাশ্মীর নিয়ে যা সামগ্রিকভাবে দু’টি দেশ দাবি করলেও তারা আংশিকভাবে ভূখ-টি শাসন করে। পাকিস্তান আরও মনে করে পাকিস্তান সম্পদ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এবং সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত জঙ্গীদের সমর্থন করছে। এসসিও মূলত প্রতিবেশী আফগানিস্তানের কট্টর ইসলাম ও মাদক পাচার থেকে উদ্ভূত হুমকি মোকাবেলার লক্ষ্যে গঠিত হয়। চেং বলেন, শীর্ষ বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যোগ দেবেন এবং সেখানে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হবে। বেজিং বলেছে, মুসলিম উইঘুর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চীনের সুদূর পশ্চিমাঞ্চলীয় শিন জিয়াংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো পূর্ব তুর্কিস্তান নামে তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে এবং তাদের সঙ্গে মধ্য এশিয়া এবং সেই সঙ্গে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চরমপন্থীদের সংযোগ রয়েছে। চীন জানায, ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট নামে তৎপর উইঘুর জঙ্গীরা আইএসের সঙ্গেও কাজ করছে।
×