ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্লোজিংয়ে আনন্দ!

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৬ জুলাই ২০১৫

স্লোজিংয়ে আনন্দ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হাতা ছাড়া যেমন জামা হয় না, তেমনি সেøজিং ছাড়া এ্যাশেজ কল্পনা করা যায় না! বিষয়টা বিদঘুটে, একদিকে ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা, অন্যদিকে খেলাটির ইতিহাসের সমান দীর্ঘ এ্যাশেজ সিরিজের সঙ্গে জড়িয়ে অনেক ঐতিহসিক সেøজিংও! ক’দিন আগে গ্রেট শেন ওয়ার্ন বলেন, বাগ্বিত-া থাকবে, স্বাগতিক ইংলিশরা যেন এ জন্য প্রস্তুত থাকে। ডেভিড ওয়ার্নার তো আরও একধাপ এগিয়ে, খোদ সফরকারী তারকার মতে সেøজিংই যদি না থাকে, তবে ক্রিকেটের আনন্দ কোথায়? স্বভাবজাতভাবে অসিরা এটি পছন্দ করেÑ এমনটা বলে এ্যাশেজ মাঠে গড়ানোর ঠিক আগে উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন মারকাটারি এই ব্যাটসম্যান। বুধবার প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু পাঁচ টেস্টের ঐতিহাসিক এ দ্বৈরথ। ‘প্রত্যেক দলেই এমন দু-একজন প্রয়োজন আছে, যারা এটা করতে পারেন। স্বীকার করছি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অনেক সময় আমি-ই প্ররোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হই! ইংল্যান্ডে যেমন জিমি এ্যান্ডারসন। যুদ্ধের ময়দানে আমরা সবাই সেøজিং পছন্দ করি এবং আমার মনে হয়, জিমি যেহেতু বোলার তাই সে-ই এটা করতে পারে!’ বলেন ওয়ার্নার। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার একান্ত ধারণা মাঠে খেলার আনন্দ বাড়িয়ে দিতে সেøজিংয়ের ভূমিকা থাকে, তবে অবশ্যই আপনি সীমা অতিক্রম করতে পারেন না।’ সেøজিং বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) কঠোর অবস্থান ক্রিকেটের উত্তেজনা শেষ করে দেবে বলেও মনে করেন ২৮ বছর বয়সী অসি তারকা। ‘আমিই আইসিসির কাছ থেকে শেষবার সতর্কিত হয়েছি। কিন্তু নতুন নিয়মে খেলাটার উত্তেজনা কমে যাবে। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে আউট করেও বোলার মন খুলে আনন্দ করতে পারবে না, ব্যাটসম্যানের দিকে দৌড়ে গেলে আম্পায়ার ফাইন করবেÑ এটা আমার মোটেই পছন্দ নয়।’ সেøজিংয়ের গলা চেপে ধরলে ক্রিকেটের আনন্দ অনেকটা ম্লান হয়ে যাবে বলে মনে করেন ওয়ার্নার। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ফেরাতে গত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের ঠিক আগে সেøজিং নিয়ে কড়া বার্তা দেন আইসিসির চীফ এক্সিকিউটিভ ডেভ রিচার্ডসন। এরপরও এ্যাশেজ সামনে রেখে মুখ খুললেন অসি ওপেনার। মাঠ ও মাঠের বাইরে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে গত ১৮ মাসে দুবার ফাইন হয়েছে ওয়ার্নারের। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বল বিকৃতি এবং ভারতের বিপক্ষে রোহিত শর্মার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য জরিমানা গুনতে হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রেজি এই ক্রিকেটারকে। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেদিন রাতে ‘ওয়াকআউট’ বারে ইংল্যান্ডের জো রুটকে সজোরে ঘুষি মেরে বসেন ওয়ার্নার! রুটের থুতনিতে পরচুলা পরা নাকি তার পছন্দ হয়নি। তার হাবভাব দেখে ওয়ার্নারে মনে হয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাকে নকল করছেন তিনি। তবে সেদিন বিশেষ কিছু না বলায় বিষয়টা এতদিন রহস্যই থেকে গিয়েছিল। ‘সেদিন আমরা, ইংল্যান্ডের ও নিউজিল্যান্ডের কয়েক ক্রিকেটার একই হোটেলে মদ্যপান করছিলাম। আমার এক বন্ধুই প্রথমে পরচুলাটা মাথায় পরে লাসিথ মালিঙ্গাকে নকল করছিল। রুট হঠাৎ করে ওর মাথা থেকে উইগটা খুলে থুতনিতে পরে ফেলল। লোকে মদ্যপ অবস্থায় এ রকম করে। আমি আসলে সহ্য করতে পরিনি। আসলে মদ্যপ অবস্থায় আমার মথা ঠিক ছিল না।’ ওই ঘুষি কা-ে এক বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়া দল থেকে জায়গাও হারাতে হয়েছিল ওয়ার্নারকে।
×